Advertisement
Advertisement
আফ্রিদি গৌতম গম্ভীর

মোদিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য! আফ্রিদিকে পালটা ‘জোকার’ বলে তোপ গম্ভীরের

আফ্রিদির নিজের সীমা লঙ্ঘন করা উচিৎ না, বলছেন হরভজন।

Gautam Gambhir slams Shahid Afridi over controversial remarks
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 17, 2020 4:35 pm
  • Updated:May 17, 2020 4:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির ভারতের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই মন্তব্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার সম্ভবত মাত্রা ছাড়িয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘করোনার থেকেও খারাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। যা সহ্য করতে পারলেন না ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও (Gautam Gambhir)। পালটা আফ্রিদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজোয়াকে ‘জোকার’ বলে তোপ দাগলেন গম্ভীর।

সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে করোনার ত্রাণ বিলি করতে যান আফ্রিদি (Shahid Afridi)। সেসময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরের বেশিরভাগ নাগরিক পাকিস্তানের পক্ষে। ভারত জোর করে ওই এলাকা দখল করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। মোদির মস্তিষ্ক করোনার থেকেও ভয়ংকর। প্রাক্তন পাক অধিনায়কের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন গম্ভীর। টুইট করে তিনি বলেন,”একজন ১৬ বছর বয়সি মানুষ আফ্রিদি বলছে, পাকিস্তানের ৭ লক্ষ সেনাকর্মী আছে, ২০ কোটি মানুষ আছে। অথচ ৭০ বছর ধরে ওরা কাশ্মীরের জন্য ভিক্ষা চেয়েই চলেছে। আফ্রিদি, ইমরান খান, বাজোয়ার মতো লক পাকিস্তানের মানুষকে বোকা বানাতে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে যা খুশি বিষ ছড়াতে পারে। কিন্তু ওরা কোনওদিন কাশ্মীর পাবে না। আর বাংলাদেশের কথা মনে আছে তো?”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশই একমাত্র জায়গা, যেখানে কখনও কোনও সমর্থন পাইনি’, বিস্ফোরক রোহিত শর্মা!]

গম্ভীর একা নন, আরেক ভারতীয় তারকা হরভজন সিংও আফ্রিদির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি আফ্রিদিরই অনুরোধে হরভজন (Harbhajan Singh) এবং যুবরাজ সিং তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় অর্থদানের জন্য প্রচার চালান। কিন্তু, সেই আফ্রিদিই ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছেন। যা মেনে নিচ্ছেন না হরভজন সিংও। তিনি বলছেন, “আফ্রিদি যেটা বলেছে সেটা খুব দুঃখজনক। আমাদের দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজে কথা বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সত্যি কথা বলতে, ও আমাদের অনুরোধ করেছিল ওর সংস্থার হয়ে আবেদন করতে। সেজন্য সরল বিশ্বাসে আমরা ওকে সাহায্য করেছি। ওর সাথে আমাদের আর কোনও সম্পর্ক নেই। ওর উচিৎ নিজের দেশ এবং নিজের সীমার মধ্যে থাকা।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ