Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারত

রাজকোটে আজ ডু অর ডাই ম্যাচ ভারতের, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া রোহিতরা

জয়ের জন্য রোহিত-শিখরেই ভরসা ভিভিএস লক্ষ্মণের।

Its do or die situation, India to face Bangladesh in Rajkot
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 7, 2019 12:13 pm
  • Updated:November 7, 2019 12:13 pm

ভিভিএস লক্ষ্মণ: ক্রিকেটের তিন ফরম‌্যাটের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় কেন জানেন? এখানে আগের থেকে কাউকে ফেভারিট বলা যায় না। ভারত বনাম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম‌্যাচটার কথাই ধরুন। বাংলাদেশের কৃতিত্বকে ছোট করছি না। টি-টোয়েন্টি ফরম‌্যাটে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম জয় ওদের। বিশেষ কৃতিত্ব দেব মুশফিকুর রহিমকে। তবে ভারতের জন‌্য এটা ওয়ার্নিং বেলের মতো। ঘরের মাঠে এমন অপ্রত‌্যাশিত হার আগেও হয়েছে। দিল্লি ম‌্যাচে ফের প্রমাণিত হল, সেই ভুল থেকে ছেলেরা শিক্ষা নেয়নি।

রাজকোটে হার মানেই সিরিজ বাংলাদেশের পকেটে চলে যাবে। তাই বাংলাদেশ নয়, চাপ বেশি থাকবে ভারতের উপর। দিল্লিতে হারের প্রধান কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলব, টপ অর্ডারের ব‌্যাটিং ব‌্যর্থতা। শিখর ধাওয়ান বা রোহিতের মতো কাউকে অ‌্যাঙ্করের ভূমিকা নিতে হবে। অন্তত ১৭ বা ১৮ ওভার পর্যন্ত ওদের কাউকে থাকতে হবে। তাহলেই বোর্ডে জেতার মতো রান ওঠা সম্ভব। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেটা হয়নি বলে ভারত হেরেছিল। দিল্লিতেও সেই এক জিনিসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই কথা মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলোতে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ওদেরকে বলব, এই সুযোগ হাতছাড়া কোরো না। এমনভাবে পারফর্ম করো যাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ভিত পোক্ত হয়ে যায়। কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে। আর চাপ নয়, খোলা মনে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলো। তাতেই রেজাল্ট আসবে।

Advertisement

দিল্লি ম‌্যাচে ভারতীয় দলের ব‌্যাটসম‌্যানদের মধ্যে লোকেশ রাহুলের ব‌্যাটিং ভাল লেগেছে। শিখর ধাওয়ান রানের মধ্যে ছিল না। ভাল লাগল, ও সেই সমস‌্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। শিখর যদি রান আউট না হত, তাহলে হয়তো ভারতের রান নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যেত। রোহিতের ছেলেদের বলব, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজকোটে ঘুরে দাঁড়াও। সেই ক্ষমতা ভারতের আছে। মুশফিকুর বাদে বাংলাদেশের আর এক ক্রিকেটারের পারফরম‌্যান্স ভাল লেগেছে। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। ও বল ফ্লাইট করাতে ভয় পাচ্ছিল না। তার রেজাল্ট পেয়েছে রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট নিয়ে। প্রবল চাপের মধ্যে পড়েও ভারত যে দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিল তার কৃতিত্ব দিতে চাই ওয়াশিংটন সুন্দর ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়াকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাইক্লোনের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্র্যাকটিসে ভারত, রায়নার রেকর্ড ভাঙতে প্রস্তুত রোহিত]

দিল্লির উইকেট মন্থর ছিল। সেখানে ১৪৮ রান নিয়েও জেতা সম্ভব ছিল। বোলিংয়ের সময় ভারত শুরুটা বেশ ভাল করেছিল। তবে দুরন্ত মুশফিকুর একাই ছবি বদলে দিল। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেয়নি। কঠিন উইকেটে কীভাবে ব‌্যাট করলে রেজাল্ট আসবে সেটা মুশফিকুর জানে। স্পিনারদের সব বল স্কোয়‌্যারে আর পিছনে খেলে গেল। মানছি, ম‌্যাচের শেষ দিকে ক্রুণাল ওর ক‌্যাচ ফেলে ম‌্যাচ ভেস্তে দিয়েছে। তবু বলব, মুশফিকুরের কাছেই প্রথম ম‌্যাচ হেরেছে ভারত।

সেদিনের ম‌্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আমার কাছে দুটো। প্রথমটা যদি ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার ক‌্যাচ মিস হয়, দ্বিতীয় অবশ‌্যই খলিলের চার বলে চারটি বাউন্ডারি খাওয়া। টি-টোয়েন্টি ফরম‌্যাটে ভারতের সেরা স্পিনার চাহাল। ওকে খেলতে ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশের ব‌্যাটসম‌্যানরা। উলটে, খলিলকে টার্গেট করল মুশফিকুর। চার বলে পরপর চার খেলে কীভাবে আর ম‌্যাচ জেতা যাবে? যাই হোক, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড সবসময়ই ভাল। আশা করি এবারও তা পাল্টাবে না। দেখতে চাই রাজকোটে বাংলাদেশকে কী করে পাল্টা চ‌্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে রোহিতরা। আর একটা কথা বলব। প্রথম ম‌্যাচে হারের পর বড় বেশি ঋষভ পন্থের সমালোচনা হচ্ছে। দলে পরিবর্তনের কথাও টেনে আনা হচ্ছে। রোহিতকে বলব, দিল্লির দলই রাজকোটে নামাও। তরুণদের যথেষ্ট সুযোগ না দিলে ওরাই-বা কী করে খোলা মনে পারফর্ম করবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ