Advertisement
Advertisement
BCCI

করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে মরিয়া একাধিক দেশ

লকডাউনের পরই ঠাসা ক্রীড়াসূচি ভারতের।

Scheduling wars intensify after Australia push for five-Test India series
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 22, 2020 11:52 am
  • Updated:April 22, 2020 12:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে ভরসা ভারত। লকডাউন শেষ হলেই ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার জন্য লম্বা লাইন পড়তে চলেছে। লাভজনক সম্প্রচার চুক্তি পাওয়ার আশায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া বোর্ডগুলি ভারতকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার জন্য অনুরোধ করছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ডকে (BCCI) অনুরোধ পাঠিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। পরে ছোট দেশগুলিও অনুরোধ পাঠাতে পারে।

Team-India

Advertisement

 

Advertisement

এমনিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি টেস্ট সিরিজ খেলার পরিকল্পনা ছিল ভারতের। অজি বোর্ড (Cricket Australia) চাইছে ওই সিরিজটি আরও বড় করে হোক। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলুক ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভবিষ্যতের ক্রীড়াসূচি নিয়ে বৈঠকে বসছে আইসিসির সদস্য দেশগুলি। সেদিনই স্পষ্ট হবে ভারত কার কার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে। কারণ, লকডাউন খোলার পর অন্তত ৬টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে চাইবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলতে হলে অন্য দেশগুলিকে সাহায্য করা যাবে না। বিসিসিআই সুত্রের খবর, বোর্ড সবাইকেই সাহায্য করতে চাইছে। তবে সবটাই নির্ভর করবে টি-২০ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ এবং কবে ক্রিকেট শুরু হচ্ছে তার উপর। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, লকডাউন উঠলেই ভারতীয় দলকে বহু সিরিজ খেলতে হবে।

[আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা, বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক আইসিসির]

করোনার জেরে ইতিমধ্যেই সংকটে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর্থিক সংকটে ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অজি ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। এবার একইভাবে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে পারে আইসিসির (ICC) বহু সদস্য দেশ। তালিকায় সবার উপরে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। আগামী ৬ মাস যদি ক্রিকেট না হয়, তাহলে এই সবকটি দেশের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।ক্রিকেটের আর্থিক দিক নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন, আগামী ৬ মাস যদি খেলা পুরোপুরি বন্ধ থাকে, তাহলে এই দেশগুলি তো বটেই, অন্য সমস্ত ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ বিপদে পড়বে। একমাত্র ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই এবং এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরই ক্ষমতা আছে এই আর্থিক ধাক্কা সামলানোর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ