সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি থেকে আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের ফুটবলার মজিদ খান। ২০ বছরের এই তরুণ লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। একমাত্র সন্তানকে ফেরানোর জন্য পুলিশের কাছে আর্তি জানান মজিদের মা। শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। আর তাকে জীবনের মূলস্রোতে ফেরাতে অভিবন উদ্যোগ নিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া।
জম্মু ও কাশ্মীর ফুটবল সংস্থার কাছে লিখিতভাবে বাইচুং নিজের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, উঠতি ফুটবলারকে নিজের ফুটবল স্কুলে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী তিনি। দিল্লিতে তাঁর ফুটবল স্কুলে মজিদকে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন ফুটবলার।
গত ১০ নভেম্বর অনন্তনাগে নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল মজিদ। এর পরের দিন থেকে উপত্যকায় হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছবি ঘুরতে থাকে। দেখা যায় এক যুবক অত্যাধুনিক রাইফেল নিয়ে বসে আছে। ছবিটি যে মজিদের তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি পরিবারের। ওই যুবকের মা আয়েশা গৃহবধূ, বাবা ইরশাদ সরকারি চাকুরে। মেধাবী এবং প্রতিশ্রুতিবান এই গোলকিপার জঙ্গি দলে ভিড়ে যাওয়ার খবরে ইরশাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ছেলের চিন্তায় মা আয়েশা খাওয়া বন্ধ করে দেন। একমাত্র সন্তানকে ফেরানাের জন্য পুলিশের কাছে আরজি জানায় খান পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মজিদের বন্ধুরা তাকে বাড়ি ফেরার জন্য আবেদন জানায়। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার রাতে অনন্তনাগের একটি থানায় আত্মসমর্পণ করে বিপথগামী ওই তরুণ।
গোটা বিষয়টি কানে পৌঁছেছিল বাইচুংয়ের। তখনই ঠিক করেন, নিজের ফুটবল স্কুলে তাকে ডেকে নেবেন। “মজিদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার খবর পড়ে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। শুনেছিলাম ছোটবেলা থেকেই ও একজন প্রতিশ্রুতিবান গোলকিপার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিল। ফুটবলই তার ধ্যানজ্ঞান। অনেক ট্রফিও জিতেছে। ফুটবল অনেক বিপথগামীকে সোজা পথে ফিরিয়েছে। ওকে ফুটবলে ফেরাতে দরকার ছিল একটা প্ল্যাটফর্ম। সেই চেষ্টাই করলাম। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর ফুটবল সংস্থাকে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছি। কোচেদের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করলেই বোঝা যাবে ওর ফুটবল প্রতিভা কতটা। আমি চাই, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক মজিদ।” বলছেন বাইচুং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.