জামশেদপুর এফসি: ১ (ইমানুয়েল-পেনাল্টি)
ইস্টবেঙ্গল: ৩ (সুহের, ক্লেটন-২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার বিরুদ্ধে গত ম্যাচে স্কোরবোর্ড দেখে মাথায় হাত পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। এমনটাও সম্ভব? দুই গোলে এগিয়ে থেকেও কোনও দল এভাবে হেরে যায়? ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন ভক্তরা। তবে জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে যেন সেই ক্ষতেই মলম লাগাল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দল।
ধারে ও ভারে অনেকটাই পিছিয়ে জামশেদপুর। পয়েন্ট তালিকাতেও তারা ৯ নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) একধাপ নিচে। তবে তা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেননি লাল-হলুদ কোচ। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় সুহেরদের। আর তাই ম্যাচের মাত্র দু’মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন সুহের। দুর্দান্ত ক্রসে বক্সের সামনে তাঁর সুহেরকে বল সাজিয়ে দেন নাওরেম সিং।
[আরও পড়ুন: গিনেস বুকে নাম উঠল ভারতীয় বোর্ড ও নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের! কী নজির তৈরি হল?]
Captain Cleiton makes it 3 and becomes the leading scorer of the #HeroISL this season with 5️⃣ goals!
JFC 1-3 EBFC#JFCEBFC #JoyEastBengal #HeroISL #আমাগোমশাল #Indianfootball pic.twitter.com/NLRIyUXhSt
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) November 27, 2022
প্রথমার্ধে আবারও দল এগিয়ে যায় ক্লেটনের দুরন্ত গোলে। এই গোলের নেপথ্যেও ছিলেন সেই নাওরেম। প্রথমার্ধে সেটপিস থেকে আরও কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে সুহের ফাউল করায় পেনাল্টি উপহার পেয়ে যায় জামশেদপুর। যেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি ইমানুয়েল থমাস। প্রথমার্ধের শেষে আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন জামশেদপুরের হ্যারিসন। কিন্তু স্কোরবোর্ডে বদল ঘটাতে পারেননি।
এক গোলে এগিয়ে থাকলেও অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে কোনও ঢিলেমি করেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৫৮ মিনিটে ক্লেটনের গোলই ম্য়াচের ফল নিশ্চিত করে যায়। ওড়িশার কাছে হারের পর যেভাবে দল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটাই যেন এদিন বড় প্রাপ্তি কোচ স্টিফেনের কাছে।