স্টাফ রিপোর্টার: আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার সময়েও ভিড় হত না শ্রীনগরে। এখন সব বদলেছে। রিয়েল কাশ্মীরের ম্যাচ থাকলে টিআরসি স্টেডিয়াম ভর্তি। তারপরও স্টেডিয়ামের বাইরে লম্বা লাইন।
নিজেদের ডেরায় বিশৃঙ্খলার হাত থেকে বাঁচতে স্টেডিয়ামের দরজা বন্ধ করা সম্ভব। কলকাতায় ইস্টবেঙ্গলের জয়ের দরজা রিয়েল কাশ্মীর বন্ধ করে দিতে পারে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিন ম্যাচ টানা জয় পেয়ে লাল-হলুদ বাহিনীকে এখন একটা দলের মতো লাগছে। আগের ম্যাচে চেন্নাই এফসিকে হারিয়ে দিয়ে আই লিগ যেমন জমিয়ে দিয়েছেন রিয়েল ফুটবলাররা, তেমনই চাপে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলকেও। যদি চেন্নাইকে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে ইস্টবেঙ্গলকে নয় কেন? আর সেকথা মাথায় রেখে ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো বলছেন, “রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচটা আমাদের কাছে কঠিন। ওরা চেন্নাইকে হারিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, শুক্রবার কঠিন একটা ম্যাচ খেলতে নামছি।”
[একসময়ের তুরুপের তাস কাটসুমিই বাধা শংকরলালের]
একদিন আগের থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মাসোন। রবার্টসন খুলে বললেন না, মাসোনকে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলাবেন কী না। এটাও ঘটনা, ধোঁয়াশা তৈরি করতেই মাসোন নিয়ে কিছু বলেননি। তবে ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকার জবি জাস্টিনের প্রসঙ্গ উঠতে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রবার্টসন। “জবি আই লিগের সেরা স্ট্রাইকার। ইস্টবেঙ্গল ভাল দল। শুক্রবারের ম্যাচটা তাই কঠিন।” ইস্টবেঙ্গলে স্থানীয় ফুটবলার কম। কাশ্মীরে পাঁচ জন স্থানীয় ফুটবলার আছে। তাই লিগের দু’নম্বরে তারা। যদিও লিগ টেবল নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না রিয়েল কাশ্মীর কোচ। “ ন’টা ম্যাচেই ধারাবাহিকতা রেখেছি। শেষ ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়েছি। এবার লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গল। তবে ওরা ভারতীয় ফুটবলের বড় ক্লাব হওয়ায় চাপ ওদের উপর থাকবে। আমাদের নয়।” রবার্টসন ম্যাচের আগে চাপটা ইস্টবেঙ্গলের উপর দিলেও কোচ আলেজান্দ্রো পাশ কাটিয়ে গেলেন। বললেন, “ম্যাচটা হারতে চাই না। লড়াই করবে ফুটবলাররা। ওরা ম্যাচ জিতেই ফিরব।”
ছবি: অচিন্ত্য রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.