সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেরোকার বিরুদ্ধে রিয়াল কাশ্মীরের ড্র। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে চার্চিলের হার। বুধবার এ দু’টো ঘটনা একসঙ্গে ঘটলে বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিতলে দ্বিতীয়বারের জন্য আই লিগ চ্যাম্পিয়নের ফ্ল্যাগ তুলতে পারত মোহনবাগান। চার্চিল হেরে গেলেও রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচ জিতে বৃহস্পতিবারের চ্যাম্পিয়নশিপে প্রশ্নে জল ঢেলে দিল। তাই কল্যাণীতে চেন্নাইকে আজ হারালেও অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবারের আইজল ম্যাচের জন্য। সেদিন জিতলে প্রতিপক্ষের দিকে তাকাতে হবে না। তার আগে এদিনের চেন্নাই ম্যাচ জয় নিশ্চিত করতে হবে টিম ভিকুনাকে।
বৃহস্পতিবার কল্যানীতে এমন দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হচ্ছে, যে দলটা গতবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে চেন্নাই কোচ আকবর নওয়াজ বুধবার সকালে মোহনবাগান তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন, “মোহনবাগানকে দেখে গত মরশুমে নিজেদের কথা মনে পড়ছে। এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম। তবে মোহনবাগান যোগ্য দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে।” তিনি কিবু ভিকুনা। বিনয় আর ভদ্রতার শেষ কথা। প্রতিপক্ষ হিসেবে যাকে পাচ্ছেন তিন গোল করে মারছেন। তবু ঔদ্ধত্যের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। অন্য ম্যাচের আগে যা বলেন. চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সেই একই কথা বলছেন, “চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে পরে ভাবা যাবে। মাথায় এখন চেন্নাই হারানোর চিন্তা। ফুটবলারদের বলেছি, পরের কথা ভেবে লাভ নেই। আগে দুটো ম্যাচ জিতি। তারপর চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে কোথায় দাঁড়ালাম দেখা যাবে।”
[আরও পড়ুন: সবুজ-মেরুন ঝড়ে উড়ে গেল ট্রাউ, দুরন্ত গতিতে ছুটছে মোহনবাগানের বিজয়রথ]
মোহনবাগানের সঙ্গে অন্য দলগুলির এই মুহূর্তে ফারাক কোথায়? চেন্নাই কোচ যুক্তি দিয়ে বলছিলেন, “এবারের লিগে সব দলই গোল করার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা পারছি না কাজটা করতে। মোহনবাগান এখানেই এগিয়ে। গোল করে সব দলের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভাল কোচ। সঙ্গে দারুণ সব ফুটবলার। ভাল ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে মেলবন্ধন হওয়ার জন্য মোহনবাগান সবার থেকে এগিয়ে। বিশেষ করে ওদের স্ট্রাইকার বাবার কথা বলতে হবে। অভিজ্ঞ ফুটবলার। পায়ে যখন বল থাকছে না, তখনও এমন সব মুভ করছে, বিপক্ষ ডিফেন্স সমস্যায় পড়ছে।”
ভিকুনা অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন পুরো দলকে। মানছেন বেইতিয়ার যুক্তিও। বলছিলেন, “জুলাই থেকে প্রস্তুতি শুরু হলেও বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট আই লিগের প্রস্তুতির জন্য কাজে লেগেছে। কোনও ফ্রেন্ডলি খেলা আর প্রতিযোগিতায় ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলার মধ্যে অনেক ফারাক। বেইতিয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত।” মোহনবাগানকে আজ চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে হবে চার বিদেশি নিয়ে। সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে কিবু বলছিলেন, বিকেলের প্র্যাকটিসে আরও একবার দেখে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ড্যানিয়েল সাইরাসকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মুখে না বললেও, চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও ডার্বির কথা ভেবে ড্যানিয়েল সাইরাস নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।
বিকেলের প্র্যাকটিসে দেখা গেল, দলের সঙ্গে না করে মাঠের বাইরে ব্যস্ত ড্যানিয়েল। কোচ সিদ্ধান্ত নিলেন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৮ জনের দলে রাখবেন না তাঁকে। কার্ড সমস্যায় নেই তুরসনভও। তাতে কি? চেন্নাই কোচ বললেন, “ওদের দল এমন জায়গায় যে কে আছে কে নেই তাতে বিশেষ ফারাক নেই।’’ এটাই মোহনবাগানের সাফল্যের মূল মন্ত্র। যা শিখিয়েছেন কিবু ভিকুনা।