স্টাফ রিপোর্টার: নেরোকাকে হারিয়ে অবশেষে ম্যাচ জেতার খাতা খুলল ইস্টবেঙ্গল। এবার মোহনবাগানের পালা। সবুজ-মেরুন শিবির মনে করছে, বুধবার ট্রাউকে হারিয়ে বেইতিয়ারাও জেতার খাতা খুলবে।
আই লিগের মাঝেই অবশ্য বাগানে বিয়ের সানাই বেজেছে। ট্রাউ ম্যাচের দিনেই বিয়ে করছেন গোলকিপার শিল্টন পাল। ফলে টানা বেশ কিছুদিন তাঁকে থাকতে হবে মাঠের বাইরে। ডার্বির পরেই বিয়ে করতে ছুটবেন দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সুহের। মরশুম শুরুর আগে দল যখন প্রিসজন করতে গোয়ায় গেল, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার কিম কিমা গোয়ায় প্রি সিজন করতে না গিয়ে চলে গেলেন বিয়ে করতে। কলকাতা লিগের সময় বিয়ে করলেন আরেক গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারও। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের অন্দরমহলে কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে, ফুটবল মরশুমের মধ্যে পেশাদার ফুটবলাররা কীভাবে লাইন দিয়ে বিয়ে করতে চলেছেন। যেখানে ফুটবল ক্যালেন্ডার সম্পর্কে সব ফুটবলারই অবহিত আছেন। তাহলে পেশাদারিত্ব কি শুধু কর্তারাই দেখাবেন?
[আরও পড়ুন: আই লিগ অভিযানের মধ্যেই আজ ছাঁদনাতলায় শিল্টন-সায়না]
এরকম হাজারো বিতর্কের মাঝে বুধবার ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান। যে ম্যাচে গোলকিপার পজিশনে দেবজিতের বদলে শিল্টনের খেলার সম্ভাবনা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। বিয়ের জন্য শিল্টন না থাকায় কোচ কিবু ভিকুনাকে এখন চিন্তা করতে হচ্ছে দেবজিৎকে বসিয়ে শংকর রায়কে খেলাবেন কি না তা নিয়ে। ইদানীং খুবই খারাপ ফর্মে রয়েছেন। দেবজিৎ। কিন্তু তাঁকে বসিয়ে শংকরকে খেলানো ঠিক হবে কি না, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কিবু। এক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টর ব্যাখ্যা হল, মাঝেমাঝেই খেলা থেকে হারিয়ে যান শংকর। তবুও বুধবার ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে দেবজিতের জায়গায় শংকরের খেলার সম্ভাবনা প্রচণ্ড। তার বাইরে দলে খুব একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। চার্চিলের বিরুদ্ধে যে দলটা খেলেছে সেই দলটাই খেলানোর কথা ভাবছেন কিবু। ফুটবলারদের মতো তিনিও এখন মারাত্মক চাপে। ট্রাউ ম্যাচে খারাপ কিছু হলে তাঁর চেয়ার ধরেও যে টানাটানি শুরু হবে, বুঝে গিয়েছেন তিনি। তবে আশাবাদী ট্রাউ ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে দল।
বুধবারের ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে প্রতিপক্ষ দলের কোচের নাম ডগলাস হওয়ায়। যিনি ইস্টবেঙ্গল জার্সি পড়ে কোনওদিন মোহনবাগানের কাছে ম্যাচ হারেননি। এবার ট্রাউয়ের কোচ হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডগলাস তাঁর রেকর্ড বজায় রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। এদিন বলছিলেন, “আমার থেকে মোহনবাগানকে আর কে ভাল চেনে? তবে প্রস্তুতির জন্য আরও একটু বেশি সময় পেলে ভাল হত। যে সময়ে আমি ট্রাউয়ের কোচ হয়েছি, সেই সময় দলের সব ফুটবলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাই নিজের মতো করে পজিশন বুঝে দল তৈরির সুযোগটাই পাইনি। যাদের পেয়েছি, কম সময়ের মধ্যে তাদেরকেই তৈরি করে নিতে হয়েছে। মোহনবাগানের ম্যাচ দেখেছি। ওরা ভারে আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী হলেও, আমাদের সহজে হারাতে পারবে না। মোহনবাগান ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নিয়েই ফিরব।”
[আরও পড়ুন: ক্লান্তি কাটিয়ে ঝকঝকে ফুটবল, চলতি আই লিগে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের]
দু’কোচই মনে করছেন, বুধবারের ম্যাচটাই তাঁদের জন্য আই লিগের টার্নিং পয়েন্ট। শেষ হাসি কে হাসবেন, ডগলাস না কিবু? তার জন্য বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।