Advertisement
Advertisement
শিল্টন পাল

আই লিগ অভিযানের মধ্যেই আজ ছাঁদনাতলায় শিল্টন-সায়না

বাগানে বিয়ের সানাই।

Footballer Shilton Paul to tie knot with Saina Mondal
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:December 11, 2019 12:36 pm
  • Updated:December 11, 2019 12:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে মোহনবাগান পুরোদস্তুর ভাবে ব্যস্ত তাদের আই লিগ অভিযান নিয়ে। বেশ ক’টা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও রয়েছে সামনে। তবে এত কিছুর মধ্যেও মোহনবাগান তারকা শিল্টন পাল কিন্তু জীবনের ‘সেরা গোল’ সেভ করতে প্রস্তুত। আজ বুধবার, ১১ ডিসেম্বর প্রেমিকা সায়না মণ্ডলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন শিল্টন। সায়না-শিল্টনের প্রেমকাহিনির টুইস্টও কিন্তু ফুটবল ফিভারকে কেন্দ্র করেই। সাধেই বলে বাঙালির পাতে মাছ, পায়ে ফুটবল না থাকলে সে বাঙালিই নয়! সে যাই হোক, ফেরা যাক সবুজ-মেরুন দলের এই প্রিয় তারকা ফুটবলারের বিয়ে প্রসঙ্গে।

তা সায়না-শিল্টনের প্রেমকাহিনির শিকে ছিঁড়ল কী করে? ঠিক যেন সিনেমার মতো। দ্রৌপদীকে পেতে যেমন অর্জুনকে লক্ষ্যভেদী পরীক্ষায় পাশ করতে হয়েছিল, শিল্টনের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই। তবে এক্ষেত্রে হবু বউয়ের মন পেতে ডার্বি জয় করতে হয়েছিল বছর একত্রিশের ফুটবল ময়দানের এই হার্টথ্রবকে। বছর সাতেক আগে লাভস্টোরিটা শুরু হয়েছিল খানিক ফিল্মি কায়দাতেই। ডার্বি সেরা হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই সায়নার ফোন নম্বর পেতে হয়েছিল শিল্টনকে। শর্ত সামনে পেয়ে কিন্তু একেবারেই দমে যাননি মোহনবাগানের ময়দানি বাজপাখি। বরং, বুক চিতিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

Advertisement

বছর সাতেক আগের কথা। উৎসবের মরশুমে হাজারো জায়গা থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান কিংবা বিশেষ অতিথি হওয়ার অনুরোধ আসতে থাকে তারকাদের কাছে। সে বছর শিল্টন পালের কাছেও ডানলপের এক দুর্গাপুজো কমিটির তরফে আমন্ত্রণপত্র গিয়েছিল। একপ্রকার মোহনবাগানের এই গোলরক্ষকের কাছে তাঁরা আবদার নিয়েই হাজির হয়েছিলেন তাঁদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসনে বসার জন্য। বিশেষ ইচ্ছে না থাকলেও আমন্ত্রণ রক্ষার্থে গিয়েছিলেন শিল্টন। ভাগ্যিস গিয়েছিলেন! সেখানেই অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধান অতিথির আসন থেকে ‘বাজপাখি’র চোখ গিয়ে পড়ে দর্শকাসনের সামনের সারিতে বসে থাকা এক সুন্দরীর দিকে। তিনি সায়না মণ্ডল। কিন্তু চিফ গেস্ট বলে কথা, হাজার হোক আগ বাড়িয়ে ফোন নম্বর চাওয়াও যায় না। সে যাত্রায় সেই তন্বীর নামও জানা হয়নি, আর ফোন নম্বর তো দূরের কথা! তবে পরে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে জোগাড় হয়েছিল সায়নার ভাইয়ের নম্বর। ভাগ্যক্রমে সেই ছেলেও আবার অতি মোহনবাগান সমর্থক। ব্যস!

[আরও পড়ুন: ক্লান্তি কাটিয়ে ঝকঝকে ফুটবল, চলতি আই লিগে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের]

কথা শুরু সায়নায় ভাইয়ের সঙ্গে। দু’-এক দিন কথা হওয়ার পরই হবু শালা শর্ত রাখলেন, “ডার্বি জেতান, ডার্বি সেরা হোন, তাহলেই মিলবে দিদির নম্বর।” শর্ত শুনে তো শিল্টনের তখন ছটফটে অবস্থা। মাস চারেক পর একটা ডার্বি এল। জেতাও হল। শিল্টনের পারফরম্যান্সে রীতিমতো খুশি সায়নার বাড়ির লোক। তারপর? আজ ছাঁদনাতলায় সেই সায়না-শিল্টনের শুভদৃষ্টি।

দিন কয়েক আগেই চলতি আই লিগের জন্য শিল্টন কোচকে বলেছিলেন, বুধবার ম্যাচ খেলে তারপর রাতে বিয়ে সারবেন। তবে কোচের পরামর্শ, জীবনের লম্বা রেসে আপাতত ফোকাস করো।    

[আরও পড়ুন: খারাপ পারফর‌ম্যান্সের দায় ম্যানেজমেন্টের! নেরোকা ম্যাচের আগে তোপ আলেজান্দ্রোর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ