Advertisement
Advertisement

লাজংয়ের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট, চ্যাম্পিয়ন হওয়া আরও কঠিন হল ইস্টবেঙ্গলের

শিলং লাজং: ২ (ডহলিং, স্যামুয়েল-পেনাল্টি) Advertisement ইস্টবেঙ্গল: ২ (ডুডু-২) Advertisement সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগের আরও একটা মরশুম চলে গেল। ইস্টবেঙ্গলের ভাঁড়ার সেই শূন্যই। পূর্ণ হবে কি? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খানিকটা সহজ হত সোমবার ইস্টবেঙ্গল লাজংয়ে হারাতে পারলে। কিন্তু সমীকরণটা আরওই জটিল হয়ে গেল।  ১৪ বছরের আই লিগ ট্রফি খরা কাটানো যে প্রায় […]

I-League: Shillong Lajong-East Bengal match ends with a draw
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 5, 2018 7:24 pm
  • Updated:September 14, 2019 2:13 pm

শিলং লাজং: ২ (ডহলিং, স্যামুয়েল-পেনাল্টি)

ইস্টবেঙ্গল: ২ (ডুডু-২)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগের আরও একটা মরশুম চলে গেল। ইস্টবেঙ্গলের ভাঁড়ার সেই শূন্যই। পূর্ণ হবে কি? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খানিকটা সহজ হত সোমবার ইস্টবেঙ্গল লাজংয়ে হারাতে পারলে। কিন্তু সমীকরণটা আরওই জটিল হয়ে গেল।  ১৪ বছরের আই লিগ ট্রফি খরা কাটানো যে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। পাহাড়ে মশাল জ্বলে উঠতে পারল না। আর সেই সঙ্গে লাল-হলুদ সমর্থকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নেও জোর ধাক্কা লাগল।

Advertisement

[প্লাজাকে ছেড়ে দিল মহামেডানও, বদলি হিসেবে আসছেন ফিকরু!]

এমনটা যেন আশাই করেননি কোচ খালিদ জামিল থেকে টিম ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। চণ্ডীগড়ে মিনার্ভাকে হারানোর পর দুর্দান্ত মেজাজে ছিল লাল-হলুদ শিবির। তাই লাজং ম্যাচে যে তিন পয়েন্টই ঘরে আসবে, তেমনটাই আশা ছিল। বরং নেরোকা ম্যাচ নিয়েই চিন্তায় ছিলেন সকলে। ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে ম্যানেজারের ভোকাল টনিক, কর্তাদের উপস্থিতি, কোনও কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু পাহাড়ি পরিবেশই যেন বাদ সাধল। লাজং ফুটবলারদের সঙ্গে গতিতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লেন ডুডুরা। তবে সোমবার যেন সেমিফাইনাল ছিল ইস্টবেঙ্গলের। তাই ডুডুরা ভালই জানতেন, হারার আগে হারলে চলবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেই কারণেই ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও আত্মবিশ্বাস হারাননি জবি, লোবোরা। ফল মিলেছে। ডুডুর জোড়া গোলে অন্তত লিগ জয়ের আশাটা ক্ষীণ জিইয়ে রইল। কিন্তু যে দলের কিছু হারানোর ভয় ছিল না, সেই লাজং যেভাবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দিল তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আর ইস্টবেঙ্গলের নিশ্চিত জয় তো রুখে দিল তে-কাঠির নিচে দাঁড়ানো গ্লাভস দুটিই। হ্যাঁ, দুর্দান্ত কিছু বল সেভ করে ম্যাচের সেরা হলেন লাজং গোলকিপার নিধিন লাল।

[মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিশ্বকাপে সোনা জিতে নজির ভারতীয় শুটার মনুর]

এই ম্যাচের পর ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার চতুর্থ স্থানেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লড়াইটা হয়ে গেল আরও কঠিন। এখান থেকে কোনও মিরাকল না হলে এবারের মতো চ্যাম্পিয়নের তকমা অধরাই থেকে যাবে। কারণ শেষ ম্যাচে নেরোকাকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতলেও বিশেষ লাভ নেই। তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে মিনার্ভা ও মোহনবাগান ম্যাচের ফলাফলের দিকেই। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকা দুই দলই যদিও নিজেদের ম্যাচে হারে একমাত্র তাহলেই খেতাব পাবে খালিদ জামিলের দল। তবে ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট নষ্ট করায় মনে মনে যে বেশ খুশি প্রতিবেশি ক্লাবের সমর্থকরা, তা বলাইবাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ