সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনভেস্টর ‘কোয়েস’ এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণে দলের ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরিকে বলির পাঁঠা করতে চলেছে আইএফএ। ইস্টবেঙ্গল-পিয়ারলেস ম্যাচে রেফারিকে মারধর করার অপরাধে অভিযুক্ত ফুটবলারদের শুধুমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দিয়ে সাসপেন্ড করার পরিকল্পনা হয়েছে দেবরাজকে। অথচ সেদিন ম্যাচের যে ভিডিও ক্লিপিংস আইএফএ-র ডিসিপ্লিনারি কমিটির কর্তাদের কাছে জমা পড়েছে, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল দলের ম্যানেজার কোনওভাবেই রেফারির গায়ে হাত দেননি। প্রতিবাদ করার জন্য তেড়ে গিয়েছিলেন মাত্র। অথচ, ইস্টবেঙ্গলের একশ্রেণির কর্তাদের চাপে দেবরাজকে সাসপেন্ড করে ফুটবলারদের সাসপেনশনের হাত থেকে মুক্তি দিতে চাইছে। আর তা নিয়ে খোদ আইএফএতেই গন্ডগোল।
লিগের ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের মাঠে মোহনবাগানের কোনও কর্তাকে সাইডলাইনের ধারে বসে থাকতে না দেখা গেলেও ইস্টবেঙ্গল মাঠে এটা পরিচিত দৃশ্য। দল হারতে থাকলে ডাগআউটের পাশাপাশি লাল-হলুদ কর্তারা এখান থেকেই রেফারির উপর প্রথম চাপ দিতে শুরু করেন। প্রতিবাদ করতে রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার যদি অপরাধ করেন, তাহলে ম্যাচ চলাকালীন নিয়ম ভেঙে মাঠের মধ্যে চেয়ার নিয়ে বসে থাকার জন্যও সমান দোষী ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। অথচ আইএফএ এদিকটা খতিয়েও দেখছে না।
কিছুদিন আগে সাদার্ন সমিতির ফুটবলার শ্যাম মণ্ডল রেফারিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য বড়সড় সাসপেনশনের মুখে পড়েছিলেন। তাহলে ইস্টবেঙ্গলের ডিকা-কোলাডোদের জন্য কেন অন্যরকম ভাবনা? কোয়েস এবং কোচ আলেজান্দ্রোর জন্য দেবরাজ এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিমের ম্যানেজার, যা ক্লাবের মধ্যেই অনেকে মেনে নিতে পারছে না। ফলে এই সুযোগে দেবরাজকে যদি সাসপেন্ড করিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ক্লাবের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হবে ম্যানেজার হিসাবে নতুন মুখ বসানোর জন্য। যা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের রাজনীতিতে অন্য সমীকরণ এনে দেবে। যে কারণে তাড়াহুড়ো করে এদিন সন্ধেতেই ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিংয়ে ফুটবলারদের শুধু জরিমানার আওতায় এনে দেবরাজকে সাসপেনশনের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে আইএফএ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.