সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে প্রাক বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচই নয়, হাঁটুর চোটের জন্য ছ’মাস মাঠের বাইরে গেলেন ভারতীয় দলের নির্ভর যোগ্য স্টপার সন্দেশ জিঙ্ঘান। এই মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে আইএসএলেও তাঁকে দেখা যাবে না।
বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতি হিসাবে বুধবার নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে গিয়েই বিপত্তি। বাঁ হাঁটুতে চোট পান তিনি। মাঠ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। এমআরআই রিপোর্ট চোটের অবস্থা জানা যায়। সন্দেশের চোট বাংলাদেশ ম্যাচের আগে চাপে ফেলল ভারতীয় শিবিরকে। শক্তিশালী কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করার জন্য ডিফেন্সে সন্দেশের অবদান অনেকটাই ছিল। তাই চোট পেয়ে সন্দেশের ছিটকে যাওয়া নিয়ে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ বলছেন, “সন্দেশ দলের আয়রন ম্যান। যদি দলে কারও চোটের কথা ভাবতে হয়, তাহলে তালিকায় শেষ নামটা আসবে সন্দেশের। সেই ফুটবলারটি চোটের জন্য খেলতে না পারলে সমস্যা তো হবে।”
[আরও পড়ুন: যুবভারতীতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু, জেনে নিন কীভাবে কাটবেন]
কোচ ইগরের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ভারতীয় দল কাতারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ম্যাচ দেখে। যে ম্যাচের পর ইগরের মনে হয়েছে, কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। বৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ মাঠের অবস্থা ভাল ছিল না। ফলে বাংলাদেশ ফুটবলাররা বক্সের উপর ভিড় করে দু’গোলের ব্যবধান রাখে। সন্দেশ না খেললে বিকল্প কে? নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার পর ভারতীয় দল এখন গুয়াহাটিতে। বাংলাদেশ ম্যাচ খেলতে কলকাতা আসবে রবিবার দুপুরে। সেদিন রাতে প্র্যাকটিস। বৃহস্পতি, শুক্রবার গুয়াহাটিতে প্র্যাকটিস করল ভারতীয় দল। সেখানে সন্দেশের বিকল্প হিসাবে কখনও শুভাশিস, কখনও আনাস, কখনও নরিন্দরকে খেলালেন ইগর। এমনিতে আনাস প্রথম পছন্দ। কিন্তু অবসর নিয়ে অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন বলে নব্বই মিনিট খেলার জায়গায় আছেন কি না সন্দেহ। এদিকে, নরিন্দর ভাল হলেও অনভিজ্ঞ। তবে শুভাশিস খেলবেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত করে বলেননি জাতীয় কোচ। সব বিকল্পই মাথায় রাখছেন।
জাতীয় দলে স্টপারে যিনি সন্দেশের পার্টনার, সেই আদিল বলছিলেন, “দলের যে কোনও ফুটবলার চোটই খারাপ খবর। তার মধ্যে সন্দেশের মতো কেউ চোট পেয়ে বাইরে গেলে তো কথা উঠবে। সন্দেশ দলকে পিছন থেকে উজ্জীবিত করত। ওর চোটের পর সামনে দুটো রাস্তা। সন্দেশের চোট নিয়েই কথা বলে যেতে হবে। আর একটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে হবে। আমরা দ্বিতীয় পথটাই বেছে নেব।” ভারতীয় দল কলকাতার দর্শকদের অপেক্ষায়। ফেডারেশনের তরফে মোট ৪২ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ হাজার টিকিট অন লাইনে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আইএফএ এবং সরকারকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছে, তা ঠিকভাবে বন্টন হলে ধরে নেওয়া যায়, মঙ্গলবার যুবভারতী ভরতি থাকবে।