সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোল লা লিগা (La Liga)। নিজেদের ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা করলেন স্পেনের দুই হেভিওয়েট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ও বার্সেলোনা (FC Barcelona) কর্তারা। লা লিগা কর্তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন জুনের মাঝামাঝি ফের স্পেনে ঘরোয়া লিগ ফিরতে পারে। তবে প্রতিটা ক্লাবকে আগেভাগে বলে দেওয়া হয়েছে যাতে প্রতিটা ফুটবলারের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার তাই বার্সার লিওনেল মেসি (Lionel Messi) থেকে আঁতোয়া গ্রিজম্যান (Antoine Griezmann)। রিয়ালের এডেন হ্যাজার্ড থেকে করিম বেঞ্জিমা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্দেশ মতো প্রতিটা ফুটবলার তাদের নির্দিষ্ট ট্রেনিং গ্রাউন্ডে গিয়ে পরীক্ষা করান।
একদিকে যখন প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে লা লিগা। আবার একইসঙ্গে লা লিগা প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার তেবাস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যাঁর আশঙ্কা প্রতিটা ক্লাব মিলিয়ে অন্তত ৩০ জন করোনা পজিটিভ হতে পারেন। আর কোনও দলের কেউ করোনা পজিটিভ হওয়া মানে বাকিদেরও কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। শুধু ফুটবলাররা নন। মরশুম ফের শুরু করার আগে কোচিং স্টাফের প্রতিটা সদস্যকে অন্তত তিনবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। করোনা পরীক্ষার পর লা লিগার প্রতিটা ক্লাব ট্রেনিংয়ে নামার অনুমতি পাবে। যদিও ক্লাবেদের বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ট্রেনিং করতে হবে। অর্থাৎ আটজনের গ্রুপ করে ফুটবলারদের ভাগ করে দেওয়া হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিটা গ্রুপ ট্রেনিংয়ে নামবে। আবার ফুটবলারদের বলা হয়েছে যে ট্রেনিং ছাড়া তাঁরা পুরোপুরি যেন লকডাউনে থাকে।
[আরও পড়ুন: তুরিনে ফিরেই সপরিবারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রোনাল্ডো]
লা লিগা যেখানে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। বুন্দেশলিগা (Bundeshliga) আবার প্রথম বড় ইউরোপিয়ান লিগ হতে চলেছে যারা করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে মাঠে নামবে। এ দিন বুন্দেশলিগার ভাগ্য ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছিল জার্মান সরকার। শোনা যাচ্ছে, জার্মানির ঘরোয়া লিগ ফের শুরু করার সবুজসংকেত দিয়েছে জার্মান সরকার। তবে মে মাসের শেষের দিকেই ফিরবে বুন্দেশলিগা। তারিখ অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। আপাতত ধরা হচ্ছে ১৫ মে ফিরতে পারে বুন্দেশলিগা। আর সেটা না হলে ২২ মে মাঠে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ-বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সহ-বাকি বুন্দেশলিগার ক্লাব।
তবে ফুটবলারদের মাঠে নামার আগে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। শোনা যাচ্ছে প্রতিটা ফুটবলারকে তাদের পরিবারের থেকে দূরে টিম হোটেলে থাকতে হবে। একইসঙ্গে আবার আরও অনেক শর্ত দেওয়া হয়েছে যেমন মাস্ক পরে গোটা নব্বই মিনিট প্রতিটা ফুটবলারকে খেলতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট পজিশনে ফুটবলারদের জমাট হলে রেফারি খেলা থামিয়ে দিতে পারবেন। মাঠে কেউ থুতু ফেললে তাঁর কপালে হলুদ কার্ড নাচবে। আবার কেউ গোল করে সতীর্থকে জড়িয়ে সেলিব্রেট করতে পারবেন না। এবং খেলা হবে দর্শকশূন্য মাঠে।
[আরও পড়ুন: করোনাকে হারিয়ে ছন্দে ফিরছে ইউরোপ! দ্রুত শুরু হওয়ার পথে প্রিমিয়ার লিগ-লা লিগা]
বুন্দেশলিগার প্রত্যাবর্তনের খবর ছড়াতে এ দিন উল্লাসে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। এক জনৈক ফুটবলপ্রেমী টুইটারে লিখে দেন, ‘দর্শকরা মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেন না। তবে ফুটবল আবার ফিরছে জীবনে। এর থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে।’ খুব সহজে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের প্রথম ধাপ হিসেবে বুন্দেশলিগার প্রত্যাবর্তনকেই ধরছে গোটা বিশ্ব।