স্টাফ রিপোর্টার: তিনি ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত। অথচ তিনি বর্তমান ক্লাবকর্তাদের আচরণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে বর্তমান কমিটি যদি পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে না ডাকে, তাহলে তিনি কোনওদিন যাবেন না। তিনি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য।
ক্লাবকর্তা বলতে বর্তমান এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কর্তাদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন মনোরঞ্জন। যাঁদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। কেন? এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে তাঁকে বেশ কিছুদিন আগে ফোন করা হয়। সেই ফোনে তাঁকে জানানো হয়েছিল, দেশীয় ফুটবলারদের বাছাইয়ের ব্যাপারটা তাঁকে দেখতে হবে। শুধু তিনি নন, সঙ্গে কমিটিতে রাখা হয়েছিল ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, তরুণ দে ও তুষার রক্ষিতকে। কিন্তু দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে দলগঠনের কাজ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। মনোরঞ্জনরা ঘুণাক্ষরে তা জানেন না।
তাই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মনোরঞ্জন বলছিলেন, “তখন সবেমাত্র নীতা আম্বানি ঘোষণা করেছেন, আইএসএল (ISL) খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে একটা ফোন আসে। তাঁদের এককর্তা আমাকে জানান, দলগঠনের কাজে সাহায্য করতে হবে। মতামত দিতে হবে কাদের দলে নিলে ভাল হয়। আমি রাজি হয়ে যাই। ভাস্কর, তুষার ও তরুণকেও দলে রাখা হবে বলেই তিনি জানিয়েছিলেন। এখন শুনছি দলগঠন হয়ে গিয়েছে, অথচ আমি জানতেই পারলাম না। ভাস্কর, তুষাররা জানে বলেও আমার মনে হয় না। কারণ তারা জানলে আমাকে বলতো। কিংবা এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই কর্তাও নিশ্চয়ই আমাকে ফোন করতেন। তাই তাঁদের আচরণ দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি।”
ক্লাব কর্তাদের কাছে খবর, এবার নাকি দলগঠন হচ্ছে বাইচুং ভুটিয়ার পরামর্শ নিয়ে। ক্লাবের কতিপয় কর্তা তা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। যদিও তাঁদের মানা বা না মানার উপর কিছুই যায় আসে না। তাহলে কি কোনওদিন এই নতুন ফুটবল কমিটির ডাকে যাবেন না? প্রশ্নের উত্তরে মনোরঞ্জন জানিয়ে দিলেন, খুশি করার জন্য ডাকলে যাবেন না। “সত্যি বলতে কী, ইস্টবেঙ্গল আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। তার ডাককে উপেক্ষা করা খুব কঠিন। তবে ডাকলেই চলে যাব তার কোনও মানে নেই। দেখব ডাকার পিছনে উদ্দেশ্যটা কী। যদি দেখি প্রয়োজনের নিরিখে আমাকে ডাকা হচ্ছে তাহলে যাব। নিশ্চয় খুশি করার জন্য ডাকলে আমি যাব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.