Advertisement
Advertisement
মোহনবাগান

শেখ কামাল কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ, লি টাকের হ্যাটট্রিকে ধরাশায়ী মোহনবাগান

খালি হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে কিবু ভিকুনার ছেলেদের।

Sheikh Kamal International Club Cup: Mohun Bagan lost to Terengganu FC
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 29, 2019 8:42 pm
  • Updated:October 29, 2019 9:01 pm

তেরেঙ্গানু এফসি: ৪ (লি টাক-৩ একটি পেনাল্টি থেকে, সাফিক্স)
মোহনবাগান: ২ (ফ্রান গঞ্জালেজ)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মরশুমে আরও একটা ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের। স্বপ্নভঙ্গ দুই বাংলার ফাইনাল ম্যাচের সাক্ষী থাকার। একার দক্ষতাতেই ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের যাবতীয় স্বপ্নভঙ্গ করে দিলেন লি টাক। তাঁর হ্যাটট্রিকেই কুপোকাত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে পরাস্ত হয়ে তাই খালি হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে কিবু ভিকুনার ছেলেদের।

Advertisement

চলতি টুর্নামেন্টে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জিতেছিল মালয়েশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল তেরেঙ্গানু এফসি। সেদিনই মাঠজুড়ে লি টাকদের দাপট দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল বাগান কোচ কিবু ভিকুনার কপালে। দলের প্রত্যেক বিদেশিই দারুণ। ব্রিটিশ মিডফিল্ডার লি টাক যে যেকোনও মুহূর্তে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তা ভালই বুঝেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। আর মঙ্গল-সন্ধেয় সেটাই হাড়ে হাড়ে টের পেলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। তিন-তিনটে গোল করলেন তারকা প্লেমেকার তথা দলের অধিনায়ক। ফাইনালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি হবে মালয়েশিয়ার দল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গড়াপেটার প্রস্তাব গোপনের জের, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত শাকিব]

গত ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে দারুণ ছন্দে দেখিয়েছিল বাগানকে। কিন্তু এদিনও যে সবুজ-মেরুন ডিফেন্স ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছিল, তেমনটা নয়। বেশিরভাগ গোলই হয় সেট পিস পজিশন থেকে। খানিকটা ধীর গতিতে শুরু করলেও সুন্দর বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়ার দলটি। ফ্রি কিক থেকে গ্রাউন্ড শটে প্রথমেই দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক লি টাক। মিনিট আটেক পরই ব্রিটোকে ফাউল করায় পেনাল্টি উপহার পায় বাগান। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফ্রান গঞ্জালেজ। প্রথমার্ধে অবশ্য বাগান দুটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে ফল অন্যরকম হতেও পারত। তাছাড়া বক্সের ভিতর কোলিনাসকে ফাউল করলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। যা নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন কোচ ভিকুনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়াল ব্রিটিশ তারকা। আবার গোল শোধ গঞ্জালেজের। এবার ফ্রি কিক থেকে। স্কোরলাইন দেখে মনে হচ্ছিল, যেন টেনিস ম্যাচ চলছে। কিন্তু এরপর আর প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেননি বাগান স্ট্রাইকাররা। উলটে দুটি গোল হজম করেন। বাঁ-পায়ের অনবদ্য শটে বিশ্বমানের গোল করে ব্যবধান বাড়ান সাফিক্স। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো পেনাল্টি থেকে বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই লি টাক। চার-চারটি গোল হজম করে শেষ দিকে একপ্রকার হালই ছেড়ে দেন বেইতিয়ারা। কারণ ততক্ষণে তাঁরা বুঝে গিয়েছেন এবারের মতো সব শেষ।

[আরও পড়ুন: ইডেনেই হচ্ছে ভারতের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট, বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে রাজি বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ