সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মারি ছোড়িয়া ছোড়ো সে কম হ্যায় কে!’ ‘দঙ্গল‘ ছবিতে আমির খানের সেই বিখ্যাত সংলাপ এখন ভাইরাল। আর সে কথা যে আক্ষরিক অর্থেই সঠিক, তার আদর্শ উদাহরণ তনভি হান্স। ভারতীয় বংশোদ্ভূত টটেনহ্যাম হটস্পার মহিলা দলের প্রাক্তন এই ফুটবলার তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলেন। ভারতে জন্মানো প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে পুরুষদের লিগে বল পায়ে মাঠে নামলেন তিনি।
[ঘরের মাঠে ফের পয়েন্ট খোয়ালো বাগান, নেরোকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র]
ইচ্ছা থাকলে কী না সম্ভব। সেই ইচ্ছাশক্তিতে ভর করেই বেঙ্গালুরুতে পুরুষদের অ্যামেচার লিগে জায়গা করে নজির গড়লেন তনভি। যিনি টটেনহ্যাম, ফুলহ্যামের মতো বিদেশি ক্লাবগুলিতেও খেলেছেন। ভারতীয় মহিলা দলে খেলার স্বপ্ন তাঁর বহুদিনের। কিন্তু ব্রিটেনে বড় হওয়া ফুটবলারের এ দেশের নাগরিকত্ব না থাকায় সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি এখনও। তবে ভারতে লিগের ম্যাচ খেলতে এসেই কামাল করলেন তিনি। দ্য অ্যামেচার লিগে কাল্ট এফসি দলে শুধু জায়গাই করে নেননি ২৫ বছরের যুবতী, দলের নেতৃত্বও দিলেন তিনি। যে দলের বাকি সব ফুটবলারই পুরুষ। অর্থাৎ মাঠে পুরুষ ফুটবলারদের লড়াইয়ে একমাত্র মহিলা ফুটবলার হিসেবে নজর কাড়লেন তনভিই। ঠিক যেমন ‘দঙ্গল’ ছবিতে কুস্তিগির ববিতা ফোগাটকে পুরুষ কুস্তিগিরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল।
[কেমন ছিল প্রথম ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বের অনুভূতি? জানালেন রোহিত]
যদিও টুর্নামেন্টে ভাওকালি এফসি-র কাছে ১-২ গোলে পরাস্ত হয় তাঁর দল। তবে সতীর্থদের চাঙ্গা রাখতে টুইটারে তাঁদের পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করলেন দলনেত্রী। অভিজ্ঞ উইঙ্গার জানান, তাঁর দলের বেশিরভাগ ফুটবলারেরই টানা ৯০ মিনিট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সকলে, তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। অনেকদিন ধরেই অ্যামেচার লিগে পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল আয়োজকরা। সেই উদ্যোগকে কাজে লাগিয়েই প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়লেন তনভি হান্স।