সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগের আকাশেও এবার গড়াপেটার কালো মেঘ! যার জেরে বরখাস্ত করা হল ট্রাউয়ের কোচ দিমিত্রিস দিমিত্রিউকে। সাধারণতন্ত্র দিবসে এই ঘটনা নিয়েই সরগরম হয়ে ওঠে ভারতীয় ফুটবল।
আই লিগে এই প্রথমবার প্রথম ডিভিশনে সুযোগ হয়েছে ট্রাউয়ের (Trau FC)। আর সেই দলের কোচেরই কিনা নাম জড়াল গড়াপেটায়। প্রাক মরশুম প্রস্তুতির পর কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দিমিত্রিসকে। কোচ হিসেবে আসেন ব্রাজিলীয় ডগলাস সিলভা। কিন্তু দু’টি ম্যাচে হারের পরই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়। চলতি লিগে প্রথম তিনটি ম্যাচে হারের পর ফের ফিরিয়ে আনা হয় ৪৯ বছরের দিমিত্রিসকে। তাঁর তত্ত্বাবধানে দুরন্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মণিপুরের দলটি। তাঁর কোচিংয়ে শেষ ছ’টি ম্যাচে অপরাজিত ট্রাউ। শনিবারই আইজল এফসির বিরুদ্ধে ২-১-এ জেতে তারা। ফলে টানা চারটি ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে ট্রাউ। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু এরপরই গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে দিমিত্রিসের বিরুদ্ধে। যার জেরে বরখাস্ত করে দেওয়া হয় তাঁকে। রবিবার দুপুরে ট্রাউয়ের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, “দিমিত্রিসকে কোচের পর থেকে সরানো হল। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই তাঁকে বরখাস্ত কারণ ব্যাখ্যা করা হবে।”
[আরও পড়ুন: লাইভ টিভিতে চাহালকে হিন্দিতে গালিগালাজ গাপ্তিলের! ভাইরাল ভিডিও]
জানা যাচ্ছে, কোচের সঙ্গে নাকি কয়েকজন ফুটবলারও ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। তবে কোন কোন ফুটবলারের নাম জড়িয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি ট্রাউয়ের কর্তারা। যদিও এমন পরিস্থিতিতে ফুটবলাররা কোচের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, দলের সিইও’র সঙ্গে কোচের মতোবিরোধ লেগেই থাকত। আর সেই কারণেই হয়তো কোচকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিমিত্রিস দায়িত্ব নেওয়ার পর দল ভাল খেলছে। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়েও রয়েছেন অবিনাশ রুইদাসরা। এই অবস্থায় কোচের গড়াপেটা করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ফুটবলাররা। এদিকে গড়াপেটার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দিমিত্রিস জানান, হিংসার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) জানিয়েছেন ট্রাউয়ের কর্তারা। ফেডারেশনের ইনটিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ বলেছেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাউয়েরও কি শাস্তি হতে পারে? সিরাজের জানাচ্ছেন, প্রমাণ মিললে নির্বাসিত করা হবে ক্লাবকেও। কিন্তু হঠাৎই কোচকে সরিয়ে দেওয়ায় লিগের মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ফুটবলাররা।