সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ঘরোয়া লিগের ফুটবল ম্যাচে রেফারির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নিককে। আচমকাই নাম বদলে হয়ে গেলেন লুসি ক্লার্ক। শুধু পরিচয় নয়, বদলে গিয়েছে পুরুষ রেফারির চেহারাও। আপাদমস্তক তিনি এখন একজন নারী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। তবে ফুটবলের মাঠ ছাড়ছেন না। বিশ্বের প্রথম রূপান্তরকামী রেফারি হিসেবে রবিবার একটি ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি।
এক বছরে কমপক্ষে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি খেলিয়েছেন ইংল্যান্ডের জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলকেও। রেফারিংয়ের পাশাপাশি ট্যাক্সিও চালান তিনি। যত বয়স বাড়ত, বুঝতে পারতেন তাঁর মধ্যে সুপ্ত রয়েছে নারীসুলভ সত্ত্বা। ১৮ বছর আগে নিক তাঁর স্ত্রীর কাছে প্রথম গোপন সত্যটা প্রকাশ করেছিলেন। সত্যিটা জেনেও পাশে ছিলেন স্ত্রী। কিন্তু এর জন্য বন্ধুমহলে নানা টিটকিরিও শুনতে হয়েছে তাঁকে। বহুদিন লিঙ্গ রূপান্তরের কথা ভেবেছেন। তবে সমাজের কথা চিন্তা করে বারবার পিছিয়ে এসেছেন। একটা সময় এসেছিল যখন আত্মহনেন পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে ধীরে ধীরে প্রতিকূল পরিবেশকে দূরে ঠেলে মনের কথাই শুনেছেন। তিন সন্তানের বাবা লুসি এখন স্ত্রী ও বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি ভালবাসেন। সারের বাসিন্দা ঠিক করেন, রূপান্তরকামী হয়েও পুরুষদের ফুটবল ম্যাচই পরিচালনা করবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। অবশেষে রবিবার এল সেই দিন।
লুসি বলছিলেন, “প্রথমে টেনশনই হচ্ছিল আমায় দেখে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কী হবে। এত বড় সত্যিটা নিজের কাছেও এতকাল গোপন রেখেছিলাম। তবে এটাই আসল আমি। তাই যে কোনও কটাক্ষের সম্মুখীন হতে আমি প্রস্তুত। ঠান্ডা মাথায় সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেব।” আর এভাবেই মনের কথা শুনতে অন্যকেও অনুপ্রাণিত করছেন তিনি। লুসির এমন সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় ফুটবল সংস্থাও। সেই কারণেই পুরুষদের ম্যাচে তাঁর রেফারিং করতে কোনও বাধা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.