চার্চিল ব্রাদার্স: ১ (কোফি)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (জাস্টিন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় দিনের ছুটির পর দলবদলের বাজারে নতুন বিদেশি হিসেবে চার্চিল তুলে নিয়েছিল আইভরি কোস্টের কোফি মেশাককে। আর গোয়া দলের জার্সি গায়ে তুলেই চার্চিলের করুণ দশা ঘোচালেন এই ফরোয়ার্ডই। গত পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই পরাস্ত চার্চিলকে সোমবার খানিকটা অক্সিজেন জোগালেন তিনিই। টুর্নামেন্ট থেকে চার্চিলের পাওয়ার কিছু না থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের হারানোর অনেক কিছু রয়েছে। আর লাল-হলুদ শিবিরের সেই দুর্বল স্থানেই ধাক্কা দিল চার্চিল।
[হতশ্রী ব্যাটিংই ডোবাল ভারতকে, প্রথম টেস্টে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা]
টানা ছ’ম্যাচ অপরাজিত থাকার একটা আত্মবিশ্বাস দলকে চাঙ্গা রাখে ঠিকই। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচে কখন কী অঘটন ঘটে যায় কে বলতে পারে! সেই অঘটনই ঘটল। অঘটন এই জন্যই কারণ এখনও পর্যন্ত জয় তো দূর অস্ত, এক পয়েন্টেরও মুখ দেখেনি চার্চিল। তাই লিগ তালিকার এক্কেবারে নিচে থেকে শীর্ষে থাকা দলকে আটকে দেওয়াটা আর অঘটনের থেকে কম কী। কলকাতায় এসে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ২-৩ গোলে হেরেছিল। মোহনবাগানের কাছে তো পাঁচ গোলের মালা পরেছিল। কিন্তু নতুন করে দল গোছানোর হাতেনাতে ফল পেলেন কোচ অ্যালফ্রেড ফার্নান্ডেজ।
[বঙ্গ ক্রিকেটে নয়া চমক, আইপিএল-এর ধাঁচে লিগের ভাবনা সৌরভের]
জয়ের মুখ না দেখলেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছিলেন না লাল হলুদ কোচ খালিদ জামিল। তাছাড়া টুর্নামেন্টের এমন পর্যায়ে পৌঁছে লিগ তালিকার শীর্ষ স্থান ছাড়তেও নারাজ তিনি। তাই প্রতিটা পদক্ষেপই খুব মেপে নিচ্ছেন। এদিনও শুরুটা তেমনই হয়েছিল। প্রথমার্ধে রালতের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডারে বল জালে জড়ালেন জবি জাস্টিন। প্লাজার বদলে তাঁর উপরই ভরসা ছিল খালিদের। সে ভরসার দাম রাখলেও ঢিলেমি করল ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাগ। প্রথমার্ধেও বল পজেশনে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন চার্চিলের ফুটবলাররা। গোলের সুযোগ তৈরি করলেও শেষমেশ সমতা ফেরানোর মুহূর্ত এল দ্বিতীয়ার্ধে। পায়ে চোট পেয়ে একপ্রকার খোঁড়াতে খোঁড়াতেই গোল করলেন কোফি। এক পয়েন্ট ঘরে তোলার থেকেও এদিন চার্চিল ফুটবলাররা বেশি খুশি ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়ে। অন্য দিকে, এই নিয়ে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল খালিদ জামিলের দলই।