সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে মোহনবাগান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় দু’পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও কলকাতা লিগ জয়ের দৌড়ে প্রবলভাবেই রয়েছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। উলটোদিকে হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকেই গিয়েছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের মহামেডান। তবে কল্যাণীর মাঠে মহামেডান-মোহনবাগানের মিনি ডার্বিতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত এমন একজন ব্যক্তি যিনি আগামিদিনে এই দু’দলের বিরুদ্ধে নিজের দল মাঠে নামাবেন। ছক কষবেন কীভাবে তাঁদের হারানো সম্ভব। তিনি আর কেউ নন, ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মহামেডানের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। খেলা এই কল্যাণী স্টেডিয়ামেই। আর ২৪ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির মাঠে মরশুমের প্রথম ডার্বি। তাই দু’দলকে মাপতেই এদিন সেখানে গিয়েছিলেন আইলিগ জয়ী কোচ। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে সহকারী কিংবা গোলকিপার কোচকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্বল্পভাষী খালিদ সেসবের ঊর্ধ্বে। তিনি নিজেই যান। আর এদিনও সেভাবেই খেলা দেখলেন। তবে পুরো ম্যাচ নয়, ১-১ থাকা অবস্থাতেই দ্বিতীয়ার্ধে বেরিয়ে যান তিনি। যাওয়ার আগে বললেন, ‘দু’টি দলই খুব ভাল। তবে আপাতত আমার ফোকাস পরবর্তী ম্যাচের দিকে।’ মোহনবাগান ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ডার্বি নিয়ে পরে ভাবা যাবে।’
এদিকে, এদিন আজহারউদ্দিনের জোড়া গোলে মহামেডানকে হারায় মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা হতে থাকে। কিন্তু বাগান রক্ষণের ভুলে গোল করে এগিয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। ২১ মিনিটে ডিপান্ডা ডিকার পাশ থেকে বাগানের জালে বল পাঠান শেখ ফৈয়াজ। কিন্তু গোল খেয়েই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় বাগান খেলোয়াড়রা। ৩৭ মিনিটে কামোর দুর্দান্ত পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান আজহারউদ্দিন। শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা। কিন্তু দু’দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল করতে পারেনি কোনও দলই। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবেই শেষ হতে চলেছে, তখনই ফের গোল করলেন আজহার। লিংডোর পাশ থেকে গোল করেন তিনি। তাঁর জোড়া গোলেই শেষপর্যন্ত স্বস্তির জয় পেল বাগান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.