Advertisement
Advertisement

দেশের মন জিতেও নিজের রাজ্যে এখনও ব্রাত্য মিতালি রাজ

এখনও ব্রাত্য...

Mithali Raj still to get land promised by Hyderabad govt in 2005
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 28, 2017 1:47 pm
  • Updated:July 28, 2017 1:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দেশে ফেরার পর কেন্দ্রের তরফে দারুণ সংবর্ধনা পেয়েছে মিতালি রাজ অ্যান্ড কোং। দেশ জুড়ে এখন মহিলা ক্রিকেটের জয়জয়কার। কিন্তু নিজের রাজ্যেই ছবিটা অন্যরকম। খেলোয়াড়ি জীবনের নানা যোগ্য পাওনা থেকেই বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন মহিলা দলের অধিনায়িকা। আজ যখন মিতালি সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন, তখন এমনই এক ধামাচাপা পড়া ইস্যু সামনে এল।

১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল। দীর্ঘ ১২ বছরের কেরিয়ারে দলকে দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের শচীন তেণ্ডুলকর হিসেবেই পরিচিত তিনি। দেশকে বারবার গর্বিত করলেও নিজের রাজ্য হায়দরাবাদই মুখ ফিরিয়েই ছিল এতদিন। ব্যাপারটা এবার খোলসা করা যাক। সাইনা নেহওয়াল, পিভি সিন্ধুরা সাফল্য পাওয়ার পর হায়দরাবাদ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁদের আর্থিক থেকে শুরু করে সবরকমের সহযোগিতা করা হয়েছে। প্রচুর জমিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মিতালির এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন একদম চুপ।

Advertisement

[প্রয়াত বর্ষীয়ান ইস্টবেঙ্গল কর্তা স্বপন বল, শোকের ছায়া ময়দানে]

জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপে রানার্স হওয়ার পর সরকারের তরফে একটা শুকনো শুভেচ্ছাবার্তা ছাড়া কিছুই জোটেনি তাঁর কপালে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। মিতালি এই বঞ্চনার শিকার প্রায় এগারো বছর ধরে। ২০০৫ সালে মিতালির নেতৃত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেই সময় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওয়াইএসআর রেড্ডি। ঢাকঢোল পিটিয়ে মিতালিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ৫০০ গজ জমি দেওয়ার প্রস্তাবও। তারপর ১১ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। সেই জমি এখনও পাননি ভারতের মহিলা ক্যাপ্টেন। বর্তমান সরকারও এখন আর ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আগের সরকার কী করেছে সেটা তারা ভাববে কেন? এই ধরনের অজুহাত দিয়ে বিষয়টিকে বারবার এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। রেড্ডি মারা গিয়েছেন অনেকদিন। তাঁর মৃত্যুর এক মাস আগে মিতালির মা-বাবা গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Advertisement

[কমিশনের সুপারিশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিই বাদ দিচ্ছে বোর্ড, ক্ষোভ বিচারপতি লোধার]

দায়িত্ব হাত বদলে আসে মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডির কাছে। তাঁকে বলেও লাভ হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র আরও জানিয়েছেন, “মিতালি ভারতীয় ক্রিকেটের রত্ন। এমন একজন ক্রিকেটার প্রস্তাবিত জমি পাওয়ার জন্য সরকারের লোকজনের পায়ে ধরবে, সেটা খুব দৃষ্টিকটু। মিতালি বিরক্ত হয়ে অভিভাবকদের বলে দিয়েছে, ব্যাপারটা নিয়ে অহেতুক আর সময় নষ্ট না করতে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ