Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাই

লকডাউনের জেরে বন্ধ প্র্যাকটিস, পাতিয়ালা সাইয়ে দিশেহারা অ্যাথলিটরা

সারা দেশের মধ্যে দু’টো সাই কেন্দ্র খোলা।

Many athletes got stuck at Patiala SAI complex due to lockdown
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 26, 2020 12:56 pm
  • Updated:April 26, 2020 12:56 pm

দীপক পাত্র: অবর্ণনীয় পরিস্থিতি। ভাবাই যায় না কীভাবে দিন কাটছে অ্যাথলিটদের। সারাটা দিন শুধু খাওয়া আর টিভির রিমোট কন্ট্রোল ঘুরিয়ে যাবতীয় বিনোদনের ছবি দেখা। এভাবেই দিন চলছে পাতিয়ালা সাইতে থাকা ছ’জন-সহ বাকি অ্যাথলিটদের।

কিছুদিন আগে ঠিক হয়েছিল, ভারতীয় স্পোর্টস অথরিটি অথবা সাইতে (SAI) থাকা অ্যাথলিটদের প্র‌্যাকটিস করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলা প্রতিটি অ্যাথলিটের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোথায় প্র্যাকটিস। শুয়ে-বসেই একঘেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। আপাতত সারা দেশের মধ্যে দু’টো সাই কেন্দ্র খোলা। একটা বেঙ্গালুরু, অন্যটি পাতিয়ালা। বেঙ্গালুরু সাইতে রয়েছে দু’টি পুরুষ ও মহিলা হকি দল। কিন্তু পাতিয়ালায় রয়েছেন প্রায় ২৫-৩০ জন অ্যাথলিট। যেখানে অ্যাথলিটদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে অনিশ্চিয়তার মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাতিয়ালার সাই কেন্দ্রে থাকা দক্ষিণের এক অ্যাথলিট বলছিলেন, “প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে অফ-সিজনে প্র‌্যাকটিস করেছিলাম। ভেবেছিলাম, এবার ফিট হয়ে অলিম্পিকের আগে নিজেকে একটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব। অথচ এখন শুয়ে-বসে কাটছে। বুঝে উঠতে পারছি না, কবে এখান থেকে মুক্তি পাব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্রাণে সাহায্যের জন্য বিশ্বকাপের ব্যাট ও জার্সি নিলামে তুললেন রাহুল, জানেন কত দাম হল?]

কিছুদিন আগে টেলি কনফারেন্সে অ্যাথলিটদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা। সেই আলোচনায় প্রস্তাব দেওয়া হয়, দূরত্ব বজায় রেখে প্র‌্যাকটিস করার ব্যবস্থা চলছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে এমনই অনুরোধ করা হবে। সেই আলোচনার পর আর কোনও খবর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি ফেডারেশন কর্তারা। অথচ অ্যাথলিটরা সকালে উঠে হোস্টেলের সামনের মাঠে এক ঘণ্টার জগিং, রানিং করেই প্র‌্যাকটিস সারছেন।

Advertisement

“লকডাউন কবে উঠবে জানি না। যদি মে মাসেও ওঠে, তাহলে জোর দিয়ে বলতে পারব না, বাড়ি ফেরার অনুমতি পাব কি না। কারণ আমাদের হাতে কোনও কিছু নেই। ফেডারেশন যা বলবে তাই করতে হবে। প্র‌্যাকটিস করতে বললে করব। না বললে বাড়ি ফিরে যাব।” বলছিলেন এক অ্যাথলিট। ফেসবুক লাইভে পুষ্টিবিদ, ডাক্তাররা এসেছিলেন। সেখানে তাঁরা অ্যাথলিটদের এই সময় কীভাবে চলতে হবে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এভাবে কাটানো যে মুশকিল তা বুঝে গিয়েছেন অ্যাথলিটরা। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁদের দিশেহারা অবস্থা।

[আরও পড়ুন: ‘এতবার হারিয়েছি, নিজেরই খারাপ লাগে’, ভারতকে খোঁচা ইমরান খানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ