সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম ঘোড়সওয়ার হিসেবে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস গড়েছেন পাকিস্তানের উসমান খান। গত ডিসেম্বরেই টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেন তিনি। কিন্তু মাস দুয়েক পর হঠাৎই শিরোনামে উঠে এলেন তিনি। তাঁর ঘোড়ার নাম নিয়েই শুরু হয়েছে যত বিতর্ক।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের আঁকচা-আঁকচি সেই ১৯৪৭ সাল থেকে চলছে। গত বছর মোদি সরকারের হাত ধরে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তির পর সেই সংঘাত আরও তীব্র হয়। এমন পরিস্থিতিতে উসমান তাঁর ঘোড়ার নাম রেখেছেন ‘আজাদ কাশ্মীর’। এই ঘোড়ায় চেপেই অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছেন। আর এবার এই নামেই ঘোড়াকে সঙ্গে নিয়ে মূল পর্বে নামতে চান উসমান। আর এতেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (IOA)। অকারণ রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দিতেই এমন কাণ্ড ঘটাতে চাইছেন উসমান। পাক ঘোড়সওয়ারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে আইওএ। ভারতীয় সংস্থার প্রেসিডেন্ট নরিন্দর সিং ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “যে কোনও মূল্যে অলিম্পিকে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা প্রয়োজন। যারা এই মঞ্চে রাজনীতি টেনে আনে, তাদের অংশগ্রহণের অনুমতিই দেওয়া উচিত নয়।”
[আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে ফিল্ডিংয়ে জোর, দলে বদল আনতে পারেন কোহলি]
গোটা ঘটনাটিতে আলোকপাত করছে আইওসি। গেমসের ৫০ নম্বর নিয়ম অনুযায়ী, অলিম্পিকের মঞ্চে কোনওপ্রকার রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা বর্ণবিদ্বেষমূলক প্রচার করা যাবে না। তাই উসমান নিয়মভঙ্গ করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে পাক ফেডারেশনের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলতে পারে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। এদিকে, ইকোয়েস্ট্রিয়ান ফেডারেশন অফ পাকিস্তান (EFP) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা যদি লিখিতভাবে উসমানের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান, তবেই তারা তা বিবেচনা করে দেখবে। নাহলে, এই মুহূর্তে তাঁর ঘোড়ার নাম বদলে দেওয়া সম্ভব নয়।
যদিও আজাদ কাশ্মীর ঘোড়াটির আসল নাম নয়। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ইসবিস্টারের থেকে ১২ বছরের ঘোড়াটিকে কেনেন উসমান। তখন তার নাম ছিল ‘হিয়ার টু স্টে’। তারপর নিজের মতো করে নাম বদলে ফেলেন তিনি। এবার প্রশ্ন হল, আইওএ-র আপত্তিতে যদি ঘোড়ার নাম পরিবর্তন করতে হয় উসমানকে, তাহলে কোন নামে অলিম্পিকে অংশ নেবে ঘোড়াটি? এক্ষেত্রে FEI পরিচয়ে রেসে নামবে সে। সেটি আসলে একটি আলফা নিউমেরিক কোড। কোডের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হবে ঘোড়াটিকে।