Advertisement
Advertisement
PV Sindhu

‘অন্যায় ভাবে পয়েন্ট কেটেছে’, এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষুব্ধ সিন্ধু

চেয়ার আম্পাযারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিন্ধু।

PV Sindhu Furious on Losing Asia Championship Semifinals, Accused Chair Umpire | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 1, 2022 12:17 pm
  • Updated:May 1, 2022 12:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (Asia Championship) চেয়ার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)। চেয়ার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে পয়েন্ট কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ভারতীয় তারকা। সেমিফাইনালে জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে তিন সেটে ম্যাচ হারেন সিন্ধু। তারপরেই তিনি অভিযোগ করেন, চেয়ার আম্পায়ার অনৈতিকভাবে একটি পয়েন্ট দিয়েছেন ইয়ামাগুচিকে।

ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের দ্বিতীয় সেট চলাকালীন। দাপটের সঙ্গে প্রথম সেট জিতে নেন সিন্ধু। দ্বিতীয় সেটেও ১৪-১১ পয়েন্টে এগিয়েই ছিলেন তিনি। সেই সময়েই আম্পায়ার এক পয়েন্ট দিয়ে দেন সিন্ধুর প্রতিপক্ষকে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, সার্ভ করতে বেশি সময় নিয়েছেন সিন্ধু। সেই কারণেই পেনাল্টি হিসাবে এক পয়েন্ট দেওয়া হল ইয়ামাগুচিকে। ফলে স্কোর দাঁড়ায় ১৪-১২।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিপুল পরিমাণ আর্থিক জালিয়াতি অপরাধে আড়াই বছর জেল টেনিস কিংবদন্তি বেকারের

এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন সিন্ধু। ম্যাচের মধ্যেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উলটে খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেন সিন্ধু। তারপর আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেননি তিনি। প্রবল লড়াই হয় দু’জনের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই ইয়ামাগুচির কাছে ২১-১৩, ১৯-২১, ১৬-২১ ফলে হেরে যান তিনি। সোনা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় তাঁর। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।

Advertisement

ম্যাচের শেষে সিন্ধু জানিয়েছেন, “আমি সার্ভ করতে সময় নিচ্ছিলাম কারণ তখন প্রতিপক্ষ তৈরি ছিল না।” কিন্তু তাঁর কথা শুনতে রাজি হননি আম্পায়ার। সিন্ধু বলেছেন, “হঠাৎই ইয়ামাগুচিকে এক পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হয়। এটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। আমি মনে করি ম্যাচ হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই ঘটনা।” ঘটনার সময়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন সিন্ধু ফলে মনসংযোগ ব্যাহত হয়। সেই ইঙ্গিত করেই সিন্ধু বলেছেন, “সেই সময়ে স্কোর ১৫-১১ হতে পারত। কিন্তু আম্পায়ারের কারণে তা হয়নি। এরপরেই ম্যাচে ফিরে আসে ইয়ামাগুচি এবং পরপর পয়েন্ট জিততে থাকে।” সিন্ধু মনে করেন, এইব ঘটনা না হলে তিনি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠতে পারতেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও এই টুর্নামেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন তিনি। তারপরে এই টুর্নামেন্ট থেকে পদক আসেনি সিন্ধুর। ২০২২ সালে চতুর্থ বাছাই হয়ে খেলতে নামেন তিনি। কিন্তু বিতর্কিত ভাবে ব্রোঞ্জ পেয়েই থামতে হয় তাঁকে। 

[আরও পড়ুন: নজরে সপ্তসিন্ধু জয়, ‘মলোকাই’ চ্যালেঞ্জ জিতেই নয়া লক্ষ্য ‘জলকন্যা’ সায়নীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ