সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। কিন্তু এই বিশ্বকাপের মধ্যেই চূড়ান্ত বিপাকে জিম্বাবোয়ে। নির্বাসিত করা হল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে।
শুক্রবার সরকারি সংস্থা স্পোর্টপ অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনের (এসআরসি) তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাসনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। বোর্ডের পাশাপাশি বোর্ডের কার্যকরী ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিকেও তাঁর পদ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত দেশের ক্রিকেট যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তার জন্য একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন, ডেভিড এলম্যান-ব্রাউন, আহমেদ ইব্রাহিম, চার্লি রবার্টসন, সিপরিয়ান ম্যাডেঞ্জ, রবার্টসন, সেকেসাই এবং ডানকান ফ্রস্ট। তাঁরাই আপাতত সমস্ত দায়িত্ব সামলাবেন।
[আরও পড়ুন: আই লিগ নয়, দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্টের তকমা পাচ্ছে আইএসএল]
কিন্তু কী এমন হল যে গোটা বোর্ডকেই এমন চরম শাস্তির মুখে পড়তে হল? ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনের কাজ দেশের সমস্ত ক্রীড়া সংস্থা এবং বোর্ডগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখা। সেই কমিশনই জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কার্যকলাপ খুঁটিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছিল। আর তদন্তে নেমেই তারা জানতে পারে, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বোর্ড। বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে মনোনয়নের প্রক্রিয়ায় যেমন দুর্নীতি ধরা পড়েছে, তেমনই বেশ কিছু সাংবিধানিক নিয়মও ভঙ্গ করেছে তারা। শুধু তাই নয়, আর্থিক তছরুপ, পক্ষপাতিত্ব-সহ অনেক দুর্নীতিতেই জড়িয়েছে বোর্ড। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কমিশন সতর্ক করা সত্ত্বেও বোর্ড তাতে কর্ণপাত করেনি। তারই মধ্যে ফের তাভেঙ্গা মুকুলানিকে চার বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আর তারপরই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। এসআরসি আইন মেনেই বোর্ডকে নির্বাসিত করা হয়। জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে যা নিঃসন্দেহে কলঙ্কিত দিন।
SRC suspends Zim Cricket elective AGM for new Board. pic.twitter.com/Kp0bD6Gxe1
— TitanLaw (@TitanLaw1) June 13, 2019