নন্দন দত্ত, সিউড়ি : ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সভার মাঝে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। নলহাটির মুস্তফাডাঙার সভায় বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁর অভিনীত সিনেমা থেকে একটি গান করার আবদার করেন ভিড়ে থাকা এক যুবক৷ তাতেই রেগে যান শতাব্দী৷ ওই যুবককে কড়া ভাষায় জবাবও দেন৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, সেখান থেকে চলে যান প্রার্থী৷
সোমবার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ১২টি গ্রামেসভা করার পরিকল্পনা নিয়ে রামপুরহাট থেকে প্রচারে বেরোন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়। শীতলগ্রাম, উজিরপুর, ভদ্রপুর, গোপালচকের সভায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। এবারের লোকসভা ভোটে এই উন্নয়নই ফ্যাক্টর, এমনই শোনা গেল প্রার্থীর বক্তব্যে৷ বলেন, ‘গত দশ বছরে আমার ওপর ভরসা করে আপনারা ভুল করেননি।কারণ, আমি বারবার আপনাদের মাঝে এসেছি। কাজ করেছি। আবারও কাজ করার সুযোগ করে দিন৷’ মুস্তাফাডাঙার সভাতেও একই বক্তব্য রাখছিলেন তিনি৷ বক্তব্য শেষের পরই তাল কাটে৷ শতাব্দী রায়ের কাছে তাঁর অভিনীত সিনেমার গান ‘ফুল কেন লাল হয়’ গাইতে অনুরোধ করেন এক যুবক। একথা শুনে বেশ ক্ষুব্ধ হন তারকা প্রার্থী৷ তারপরই প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘এখানে আমি কোনও অভিনেত্রী হিসেবে আসিনি। আমি এসেছি তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ভোট চাইতে। আপনি যদি তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক হন, তাহলে আপনার এই অনুরোধ করা ঠিক হয়নি।’
অন্যদিকে, শতাব্দীর প্রচারে এই ছোট্ট অশান্তিকে কাজে লাগিয়ে ফের মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দলগুলি৷ বিজেপির তরফে সাংসদ শতাব্দীর কাজের খতিয়ান তুলে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া৷ টেনে আনা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্ত বীরভূমের প্রসঙ্গও৷দায়ী করা হয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে৷ এসব শোনার পর অনুব্রতর পালটা জবাব,‘পঞ্চায়েতে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। তার দায় আমার নাকি?’ এরপর শ্লেষের সুরে তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে কোথাও ঝামেলা হবে না, একটা লাশও পড়বে না৷ লোকে নকুলদানা খাবে আর ভোট দিয়ে চলে আসবে।’
ছবি: সুশান্ত পাল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.