Advertisement
Advertisement

Breaking News

চাকরি ফেরানো সম্ভব নয়, অনুপমকে জানাল বিশ্বভারতী

সাংসদ অনুপম হাজরা বলেন, “আমি কলকাতা থেকে ফিরছি৷ শুনেছি, বিশ্বভারতী চিঠি পাঠিয়েছে৷ চিঠি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না৷”

Anupam Hazra wont get back his job, said authority of Visva Bharati

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 5, 2016 2:36 pm
  • Updated:August 7, 2021 12:59 pm

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: চাকরি ফেরানো সম্ভব নয়৷ বিশ্বভারতীর সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ এর ফলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম সাংসদের লড়াইয়ে আপাতত দাড়ি পড়ল৷ যদিও পরবর্তীতে অনুপমবাবু আইনি লড়াই না ফের আন্দোলনে নামবেন তা পরিষ্কার হয়নি৷ বিশ্বভারতীর চিঠি পড়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ৷
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিবের দফতর থেকে অনুপম হাজরার শান্তিনিকেতনের বাড়িতে দু’টি চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ একটি চিঠিতে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্বভারতীতে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত সমাজবিদ্যা বিভাগের অ্যসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অনুপম হাজরাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন৷ ওই সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ প্রশাসনিক৷ সেই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, তা বর্তমান কর্তৃপক্ষের পক্ষে বিচার করা সম্ভব নয়৷ তাই সাংসদের চাকরি ফেরানোর আবেদনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই৷

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর অসম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিয়েন নিয়ে বিশ্বভারতীর সমাজবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন অনুপম হাজরা৷ এরপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর থেকে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি৷ ওই বছরেই ৩১ মে একবছরের ছুটির জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তিনি৷ তাঁর আবেদন মঞ্জুরও হয়৷ ছুটি শেষ হতেই অনুপমবাবুকে কাজ যোগ দিতে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু তিনি কাজে যোগ দেননি৷ তার ফলে জুন মাসের দু’তারিখ অনুপমবাবুকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়৷

Advertisement

তারপর থেকেই চাকরি ফিরে পেতে তৎপর হয়ে ওঠেন বোলপুরের সাংসদ৷ প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে নিয়ে ডামাডোল চলতে থাকায় তাঁর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়৷ পরে অবশ্য সুশান্তবাবুকে বরখাস্ত করা হয়৷ প্রাক্তন উপাচার্য সরে যেতেই ফের তৎপর হয়ে ওঠেন অনুপমবাবু৷ কিন্তু ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে বাবাকে নিয়ে উপাচার্যর ঘরের সামনে ধরনায় বসে পড়েন তিনি৷ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়৷ এরপর শান্তিনিকেতনের অন্দরেই তৃণমূল নেতা গগন সরকার গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সাংসদ৷ তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ৷ গন্ডগোল মিটিয়ে ফেলতে গগন সরকার ও অনুপম হাজরাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ বৈঠকে জেলা সভাপতি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, ব্যক্তিগত সমস্যায় নাক গলাবে না দল৷ তারপর থেকে কিছুটা চুপচাপই ছিলেন বোলপুরের সাংসদ৷ এরপর বিশ্বভারতী তাঁকে চাকরি ফিরিয়ে দিতে অপারগ বলে শনিবার জানিয়ে দেয়৷ এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “অনুপম হাজরাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি ছিল প্রশাসনিক৷ আমরা তা পরিবর্তন করতে পারব না৷” সাংসদ অনুপম হাজরা বলেন, “আমি কলকাতা থেকে ফিরছি৷ শুনেছি, বিশ্বভারতী চিঠি পাঠিয়েছে৷ চিঠি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ