সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে দেশজুড়ে বড়সড় বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা। কয়লা সংকটের (Coal Shortage) জেরে সমস্যায় দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে দিন চারেক বাদেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সংকট শুরু হতে পারে। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই দাবি।
আসলে, করোনা (Coronavirus) লকডাউনের পর দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। কেন্দ্রের দাবি, দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা খুলছে। যার ফলে হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গতবছর এই সময় যা বিদ্যুতের চাহিদা ছিল এই মুহূর্তে বিদ্যুতের চাহিদা তার ৭০ শতাংশ বেশি। বিভিন্ন কারণে এই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কয়লা সরবরাহ করতে অসুবিধা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কয়লা সরবরাহের এই সমস্যায় ভুগছে দেশের তাপ বিদ্যুৎ (Thermal Power) কেন্দ্রগুলি। গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি এবং ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের বন্যা পরিস্থিতি কয়লা সংকট আরও বাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে মাত্র চারদিনের কয়লা মজুত আছে। এই মুহূর্তে দেশের অর্ধেকের বেশি কয়লা খনিকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও প্রভাব পড়ল না গুজরাটের গান্ধীনগর পুর নির্বাচনে, অব্যাহত গেরুয়া ঝড়!]
যদিও, এই পরিস্থিতিকে বিদ্যুৎ সংকট বলতে রাজি নন কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী আরকে সিং (RK Singh)। তাঁর বক্তব্য, “এটা বিদ্যুৎ সংকট নয়। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করছি। কিন্তু চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই ধরুন গতকাল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা গতবছরের এই দিনের তুলনায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বেশি ছিল।”
[আরও পড়ুন: লখিমপুরের ঘটনায় নীরব কেন মোদি? মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রশ্ন শিব সেনার]
শক্তিমন্ত্রী বলছেন,”আমরা কয়লা সরবরাহের বিষয়টিতে নজর রাখছি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কারণ প্রতিদিন কয়লা তোলা হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিদিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। একটা বড় সমস্যা হল ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এবং ছত্তিশগড়ে বৃষ্টি। যার ফলে কয়লা উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। তবে, আমরা সমস্যাটা সঠিক ভাবেই মেটাচ্ছি। এবং আশা করছি সব ঠিক থাকবে।”