Advertisement
Advertisement
Durga puja

ভাঙা ঘরে ফের চাঁদের আলো, ‘পোড়ো বাড়ি’তে দুর্গোৎসবের গল্প বলবে বেহালার এই পুজো

দেখে নিন কীভাবে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।

Kolkata's Behala friends will depict Durga puja in an ancient house| Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 14, 2020 6:49 pm
  • Updated:October 14, 2020 10:50 pm

এবছর করোনা আবহেই পুজো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাবগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ কলকাতার বাছাই করা কিছু সেরা পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন বেহালা ফ্রেন্ডসের পুজো প্রস্তুতি৷

সুলয়া সিংহ: ‘চারি দিকে কেহ নাই, একা ভাঙা বাড়ি/ সন্ধে বেলা ছাদে বসে ডাকিতেছে কাক।
নিবিড় আঁধার, মুখ বাড়ায়ে রয়েছে/ যেথা আছে ভাঙা ভাঙা প্রাচীরের ফাঁক।’

Advertisement

রবি ঠাকুরের ‘পোড়ো বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলি আওড়ালেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শুকিয়ে যাওয়া দেবদারু গাছের নিচে আলো-আঁধারির মাঝে জরাজীর্ণ ভাঙা একটি পোড়ো বাড়ির ছবি। আর এই কবিতার প্রতিটি শব্দই এবার বাস্তবের রূপ নেবে বেহালা ফ্রেন্ডস পুজো মণ্ডপে। তবে ইতিবাচক আঙ্গিকে। ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে নিজের শৈল্পিক ভাবনায় মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী অনির্বাণ দাস। তাদের এবারের থিম ‘অঙ্কুর’।

Advertisement

Behala Friends

[আরও পড়ুন: শরৎ আকাশে ব্যথার সুরের আশ্চর্য রূপকল্প ফুটে উঠছে নাকতলা উদয়ন সংঘে]

বীজ থেকেই অঙ্কুরোদ্গম। নয়া সূচনা। তারপর ধীরে ধীরে ডালপালা মেলে বড় হয়ে ওঠার পালা। আর সময়ের সেই দীর্ঘ সফরে তার সঙ্গী হয় নানা ঘটনা। ভাল-মন্দ, চড়াইউতরাই, হাসি-কান্না, আনন্দ-উৎসবের মতো স্মৃতির খাতায় জমা হয় একঝাঁক অভিজ্ঞতা। ‘পোড়ো বাড়ি’ যেন সেই সমস্ত অভিজ্ঞতারই প্রতীক হিসেবে ঠায় দাঁড়িয়ে। আজ যেখানে গাছের শিকড় উঁকি দেয়, অতীতে সেখানেই হয়তো বসেছিল কোনও বিবাহ-বাসর। যে উঠোনে আজ শুধুই ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ, সেখানেও হয়তো হাত ধরে খেলত ভাই-বোনেরা। তবে পোড়ো বাড়িতেই কি সবটুকু শেষ? সেই ভাঙাচোরা আঙিনাতেই যদি নতুন করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা যায়। ফের শুভ সূচনা করা যায় আগামীর! সেই ভাবনা থেকেই পোড়ো বাড়ির ‘অঙ্কুরিত’ হওয়ার কাহিনি এবার বেহালা ফ্রেন্ডসের আকর্ষণ।

Behala Friends

কীভাবে মগজে ঘুরপাক খেল এই ভাবনা? শিল্পীর কথায়, “এই পুজোটি যেখানে হয়, ঠিক তার পাশেই রয়েছে একটি পোড়া বাড়ি। ভেঙে পড়েছে যার ছাদ, দেওয়ালে মাকড়শার জাল আর জানলা হারিয়েছে তার পাল্লা। সেই বাড়িটা দেখেই ভাবনার বিস্তৃতি ঘটালাম।” কেমন ছিল এর আগের রূপটা? বাড়ির একদিকের শিব মন্দিরটায় নিশ্চয়ই পুজো হত! ভেঙেচুরে যাওয়া সেই পোড়ো বাড়িতেই যদি আবার পুজোর আয়োজন করা যায়! তাহলে তো ফের আশার আলো ফুটে ওঠে। এই ভাবনা থেকেই জন্ম নিল ‘অঙ্কুর’। খড়ের চালের ছাউনির নিচেই আসছে উমা।

আর এই আলো-আঁধারি পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আবহ তৈরি করেছেন সংগীতশিল্পী শতদল চট্টোপাধ্যায়। শিল্পী নীলাঞ্জনা দাসের কণ্ঠে কবিতা পাঠেই যার ষোলোকলা পূর্ণ হবে। ভাঙা ঘরে চাঁদের আলোর মতোই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ‘পোড়ো বাড়ি’র দুর্গোৎসব।

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ফিরছে অপুর ট্রিলজি, নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে ‘ড্রাইভ ইন দর্শনে’র জন্য প্রস্তুত?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ