Advertisement
Advertisement

এই বাড়ির পুজোয় পাঁচদিন পাত পেড়ে অন্নভোগ গ্রহণ করে গোটা গ্রাম

২০০ বছরের রীতি মেনে ভট্টাচার্যদের বাড়ির পুকুরেই হয় বিসর্জন।

Sabang family feeds entire village during Durga Puja

ছবিতে ভট্টাচার্য বাড়ির একচালা প্রতিমা।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 22, 2018 6:12 pm
  • Updated:September 26, 2018 7:31 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ রইল সবংয়ের ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজোর কথা।

অংশুপ্রতিম পালখড়গপুর: ২০০ বছরের পুরনো পুজো ঘিরে সবংয়ের ভট্টাচার্য পরিবারে আয়োজনের শেষ নেই। পুজোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ভট্টাচার্য বাড়িতে কিন্তু পরম্পরা মেনেই দুর্গা আরাধনা চলে। ভট্টাচার্য বাড়ির আদিপুরুষ যোগেন্দ্র তর্কালঙ্কার নিজে এই পুজো শুরু করেন। এরপর থেকে উত্তরসুরীরা নিয়ম মেনে পুজোর কাজ করে আসছেন।

Advertisement

বর্তমানে ভেমুয়ার ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোকর্তা  দীপক ভট্টাচার্য। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দীপকবাবু জানালেন, বছর ঘুরলেও রীতিতে কোনও বদল নেই। ২০০ বছর আগে যেমন এক চালার প্রতিমা হত, তেমনটি এখনও হয়। সেকালে শাস্ত্রজ্ঞ হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন যোগেন্দ্র তর্কালঙ্কার। তিনি পুজোর কদিন পাত পেড়ে অন্নভোগের আয়োজন করেছিলেন। এখন সেই সমারোহ না থাকলেও আদিপুরুষের তৈরি করে যাওয়া নিয়ম কিন্তু বদলায়নি। আজও পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা গ্রামের মানুষ ভটাচার্য বাড়িতে পাত পেড়ে অন্নভোগ গ্রহণ করেন।

Advertisement

[স্বপ্নাদেশে পাওয়া দুর্গামূর্তিতেই শুরু মিঠানির চক্রবর্তী বাড়ির পুজো]

কালের নিয়মে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুধু দুর্গা আরধনায় ভেমুয়ার ভট্টাচার্য বাড়ি থেকে গিয়েছে ২০০ বছরের আগের নিয়মেই। সবং বদলেছে। বদলেছে গোটা মেদিনীপুরের ভৌগোলিক চেহারা। কিন্তু ২০০ বছরের প্রাচীনত্ব বন্দি হয়েছে ভট্টাচার্য বাড়ির উঠোনে। সেইসময় ভেমুয়া এলাকায় জনবসতি তেমন ছিল না। যে কটি ঘর বসবাস করতেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ যোগেন্দ্র তর্কালঙ্কার। তিনিই প্রথম ঠিক করেছিলেন ভট্টাচার্য বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হবে। সেই থেকেই শুরু আয়োজন। আজও মহাসমারোহে পুজো হয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া আত্মীয় স্বজনরা পাঁচটি দিনের জন্য সবংয়ের বাড়িতে আসেন। ধুমধাম করে পুজো হয়। দশমীতে আতশবাজি-সহ প্রতিমা নিরঞ্জন চলে। দুগ্গা মাকে বাড়ির পুকুরেই বিসর্জন দেওয়ার পুরনো রীতি ধরে রেখেছে ভট্টাচার্য পরিবার।

[বাড়ির পুজোয় থিম সংগীত! শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ায় শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ