সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাল আবর্জনার স্তূপে নেমেছিল ধস। তাতে চাপা পড়ে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৭৩ জন সাধারণ মানুষের। চার জনের হদিশ এখনও মেলেনি। অভিযোগ উঠেছিল, অবৈধভাবে আবর্জনা জমা করে রাখা হয়েছিল ওই বিশাল স্তূপে। তার ফলেই নামে ধস। ২০১৫ সালের সেই মামলা উঠেছিল চিনের আদালতে। গাফিলতির অভিযোগে ৪৩ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত।
[বিনা অনুমতিতে কাশ্মীরে চলছে পাক-সৌদি চ্যানেল, বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের]
দক্ষিণ চিনের শেনঝেন শহরে অবস্থিত ছিল ওই আবর্জনার স্তূপটি। যাতে ৯৫ মিটার উচ্চতা অবধি ৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পর্যন্ত আবর্জনা রাখার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু অবৈধভাবে ১৬০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত প্রায় ৫.৮৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটার আবর্জনা রাখা হয়েছিল। যার ফলেই ধস নামে। সরকারি মতে কমপক্ষে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি। এরপরই গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। প্রায় দুই বছর ধরে তিনটি আদালতে ঘুরে মামলাটি চলতে থাকে। অবশেষে শুক্রবার এই মামলার রায় দেয় আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ৪৩ জনের মধ্যে সেই কোম্পানির কর্মী ও আধিকারিক যারা ওই আবর্জনার স্তূপ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। সংস্থার অধিকর্তা লং লেনফুয়ের নামও এই তালিকায় রয়েছে। গাফিলতি ছাড়াও ঘুষ দিয়ে মামলাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
[শুধু ফাঁসি নয়, ওদের পুড়িয়ে মারা হোক, বলেছিলেন নির্ভয়া]
সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মীও যারা এই গাফিলতির প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। এদের মধ্যে অন্যতম শেনঝেন শহরের প্রশাসনের প্রাক্তন প্রধান মেন জিং হ্যাং। ২০ বছরের জেল হেফাজত ছাড়াও প্রায় ৭৫ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে তার। এছাড়াও পদের অপব্যবহার করার অভিযোগে অন্তত ১৭ জন সরকারি আধিকারিককে তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে চিনা আদালত।
[পার্কের মধ্যেই সঙ্গমে লিপ্ত যুগলকে আজব সাজা দিলেন বিচারক]