Advertisement
Advertisement

Breaking News

৫ কিশোরীর গা শিউরে ওঠা অনার কিলিংয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিওয় রহস্য দানা বেঁধেছে৷

 5 girl killed for dancing, the story turn into new twist
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 18, 2016 11:07 am
  • Updated:December 18, 2016 11:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনা বছর ছয়েক আগের৷ আগা গোড়া রহস্যে মোড়া৷ সত্য উদঘাটন এখনও হয়নি৷ হওয়ার আশাও ছিল না তবে তারই মধ্যে তদন্তে নয়া মোড় নিয়েছে৷ যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়৷

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিও৷ যাতে দেখা যাচ্ছে পাঁচ কিশোরীকে, পরনে ঝলমলে ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক৷ হাততালি দিতে দিতে নাচতে দেখা যাচ্ছে তাদের৷ চোখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছে উচ্ছ্বাস৷ কিছুক্ষণ পর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরও এক যুবককে৷ একই ঘরের মধ্যে, ওই পাঁচ কিশোরী থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে সেও একা একাই নাচছিল৷ ব্যস ওই পর্যন্ত! তারপর আর খোঁজ মেলেনি পাঁচ কিশোরী আর ওই যুবকের৷ কি ঘটেছিল তাঁদের সঙ্গে তাও জানা যায়নি৷ স্থানীয় সূত্রে খবর মেলে, মৌলানার নির্দেশে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ওই পাঁচ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়৷ যদিও নিম্ন আদালতে প্রমাণ করা হয় ওই পাঁচ কিশোরী বেঁচে আছে৷ তারপরই সেই মামলা খারিজও হয়ে যায়৷ ঘটনা এদেশের নয়৷ পাকিস্তানের প্রত্যন্ত কোহিস্তান এলাকার৷

Advertisement

সম্প্রতি ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে৷ ঘটনায় মৃত ওই যুবকের দাদা আফজল কোহিস্তানি সরাসরি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ এতে ধামাচাপা পড়ে যাওয়া পাকিস্তানের এই অনার কিলিং এর মামলা পুনরায় শুরু হয়েছে৷ আফজলের কথা মত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই মামলা পুনরায় শুরু করার কথা ভাবে৷ তাঁকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন নারী অধিকার রক্ষা সমিতির বিভিন্ন সংগঠন৷

Advertisement

জানা যাচ্ছে পাকিস্তানে প্রত্যন্ত কোহিস্তান এলাকায় অনার কিলিং এর ঘটনা কোনও নতুন নয়৷ অশিক্ষা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামির কারণে বহু অনার কিলিং এর ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, অনেকক্ষেত্রে ভোট ব্যাঙ্কের জন্য রাজনৈতিক চাপেও এধরনের ঘটনার কোনও উপযুক্ত বিচার মেলে না৷ কোহিস্তানের এই ৫ কিশোরী ও এক যুবককে খুনের ঘটনাতেও একই হয়েছিল৷ একই ধরনের দেখতে দুই কিশোরীকে দেখিয়ে নিন্ম আদালতে প্রমান করা হয়েছিল যে ওই পাঁচ কিশোরী বেঁচে আছে৷ যদিও ধর্মীয় বিধিনিষেধের দোহাই দিয়ে ওই দুই কিশোরীর সঙ্গেও তদন্তকারীদের সামনাসামনি কথা বলতে দেওয়া হয়নি৷ এক্ষেত্রে মৃত ওই ৫ কিশোরীর সঠিক কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় তদন্তে বেশ বেগ পেতে হয় নিম্ন আদালতকে৷ তার উপর মৃতদের পুড়িয়ে মারার কারণে তাদের শরীরে কোনও আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি৷ খুব সহজেই মামলা খারিজ হয়ে যায় আদালতে৷

তবে ইন্টারনেটে এই নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়াতে এই মামলা আরও নতুন মোড় নেয়৷ নড়েচড়ে বসে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, সমাজ কর্মীরা৷ নারীর অধিকার রক্ষার্থে গর্জে ওঠে সেদেশের বিভিন্ন মহিলা সংগঠন৷ তারপর মৃত যুবকের দাদা আফজল কোহিস্তানির উদ্যাগে মামলাটি পুনরায় শুরু হয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে৷ এখন পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন আফজল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ