Advertisement
Advertisement
বেজিং

বেজিংয়ের রেস্তরাঁ থেকে আরবি শব্দ ও ইসলামিক প্রতীক সরানোর নির্দেশ চিনের

২০১৬ সাল থেকে মুসলিমদের উপর বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি করছে চিন।

Beijing Says All Arabic, Muslim Symbols To Be Taken Down
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 1, 2019 8:11 pm
  • Updated:August 1, 2019 8:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেজিংয়ের সমস্ত রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকান থেকে আরবি শব্দ ও ইসলামিক প্রতীক সরানোর নির্দেশ দিল চিন। দেশে বাড়তে থাকা মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এর আগেই অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে শি জিনপিং সরকার। দেশজুড়ে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য বারবার বিভিন্ন ধরনের নির্দেশিকা জারি করতে দেখা গিয়েছে তাদের। উইঘুর মুসলিমদের নমাজ পড়তেও বাধা দেওয়া হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে চিনা সংস্কৃতির মূলধারায় নিয়ে আসার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেজিংয়ের ১১টি রেস্তরাঁ ও খাবার দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, সরকারের তরফে সাইনবোর্ড থেকে ইসলামের প্রতীক অর্ধচন্দ্র চিহ্ন এবং আরবিতে লেখা ‘হালাল’ শব্দটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বিনোদন পার্কে সুনামি! দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও]

এপ্রসঙ্গে বেজিংয়ের একটি নুডুলসের দোকানের ম্যানেজার বলেন, “আমাদের দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা হালাল শব্দটি ঢাকা দিতে বলা হয়। পরে আমি সেটা করেছি কিনা সেটাও লক্ষ্য করা হয়। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, এটা বিদেশি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির বদলে চিনের সংস্কৃতির ব্যবহার ও প্রচার করতে হবে।” শুধু ওই ব্যক্তিই নন একই কথা শোনা গিয়েছে অন্য দোকানকার বা রেস্তরাঁর মালিকদের মুখ থেকেও। তবে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি কেউ।

Advertisement

২০১৬ সাল থেকে আরবি ভাষা ও ইসলামিক প্রতীক বিরোধী প্রচার নতুন করে গতি পেয়েছে চিনে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে মূল ধারার চিনা সংস্কৃতির আওতায় নিয়ে আসাই মূল লক্ষ্য তাদের। এর জন্য সেদেশে থাকা মসজিদগুলির আকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের গম্বুজের বদলে চিনের প্যাগোডার আকারে তৈরির কথাও বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: পাক নজরদারিতে কনস্যুলার অ্যাকসেস, কুলভূষণ মামলায় নয়া চাল ইসলামাবাদের]

চিনে বর্তমানে দু’কোটিরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। প্রকাশ্যে সেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হলেও বাস্তবটা পুরো আলাদা বলেই ভুক্তভোগীদের দাবি। চিন সরকার ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীদের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শের ধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং শুধু মুসলিমই নয় চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে খ্রিস্টানদের উপরেও। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্ডার গ্রাউন্ড চার্চ বন্ধ করেছে প্রশাসন। কিছু চার্চকে বেআইনি বলে কালো তালিকাভুক্তও করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement