Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিল গেটস

কবে আসবে করোনার প্রতিষেধক? উত্তর দিলেন বিল গেটস

এপর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯।

Bill Gates says coronavirus vaccine could take nine months

বিল গেটস

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 2, 2020 10:38 am
  • Updated:May 2, 2020 12:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। চিন থেকে বংশবিস্তার করে এপর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯। এই মারণ রোগের হাত থেকে নিস্তারের আশায় প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দিন গুনছে বিশ্ববাসী।  এহেন সময়ে কোভিড ১৯-এর টিকা বিশ্ববাসী কখন পেতে পারেন সেই সম্পর্কে মাইক্রোসফ্‌টের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তাঁর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন।

[আরও পড়ুন: মিলেছে করোনার দাওয়াই! রেমডিসিভির প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিল আমেরিকা]

গেটসনোটস ওয়েবসাইটে বিল গেটস লিখেছেন, টিকা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তিনি আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্টনি ফাউচির সঙ্গে একমত। ফাউচি জানিয়েছিলেন, টিকা হাতে আসতে প্রায় ১৮ মাস সময় লাগবে। তবে বিল গেটস আর একটু বেশি আশাবাদী হয়ে বলেছেন, নয় মাসের মধ্যেও টিকা হাতে চলে আসতে পারে। আবার একইসঙ্গে তিনি এও বলেছেন, টিকা উদ্ভাবন করতে দুই বছরও সময় লেগে যেতে পারে। প্রতিষেধক তৈরি পন্থা ও সময়কালের ব্যাখ্যা করে গেটস বলেন, টিকা তৈরিতে ১৮ মাস অনেকটাই কম সময়।সাধারণত কোনও টিকা তৈরি করতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগে। কোনও রোগ বাছাই করার পর, বিজ্ঞানীদের  ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে এবং এটি কোনও প্রাণীর শরীরে পরীক্ষা করতে হবে। তারপর মানুষের ওপর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য পরীক্ষা  বা ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু করা হয়।

Advertisement

করোনার টিকা নিয়ে নিজের ব্লগে বিল গেটস বলেন,  দ্রুতগতিতে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক খোঁজার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে অর্থের কোনপ সমস্যা হবে না। কারণ সরকার এবং সংস্থাগুলি ভ্যাকসিনটি খুঁজে পেতে যা কিছু করার প্রয়োজন তা করার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় বিভিন্ন রকম পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন। গেটস বলেন, গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১১৫ ধরনের ভ্যাকসিন উন্নয়নের তথ্য তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০টি ওষুধ আশা জগাচ্ছে। শুরুতে যেসব টিকা আসবে তা একেবারে নিখুঁত না হলেও কাজ করবে। গেটস আরও বলেন, “যদি আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন বানিয়ে থাকি, তবে আমরা এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং শতভাগ কার্যকর করতে চাই। একটা ডোজ দিলেই সারাজীবন সুরক্ষা দেবে আর এটি সহজে বহনযোগ্যথ ও সংরক্ষণযোগ্যই হবে। আমি আশা করি, কোভিড ১৯ ভ্যা কসিনে সব গুণাবলী থাকবে। তবে আমরা যে ধরাবাঁধা সময়ে কাজ করছি তাতে শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যে জারি থাকবে আপৎকালীন অবস্থা’, উদ্বেগ বাড়িয়ে ঘোষণা WHO’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ