সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক মাসে বিপ্লব দেখেছে দুনিয়া। শুধু সিরিয়া বা ইজরায়েলের দিকে আঙুল তুললে ভুল হবে। হংকং-ফ্রান্স-লেবানন-চিলি-ইরাক। প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সর্বত্র। কিন্তু শুক্রবার বলিভিয়া যে দৃষ্টান্ত তৈরি করল সেটা কেউ সেভাবে ভাবতেও পারবে না।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকার বিরোধী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বলিভিয়ায়। তার মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। তবু আম আদমির রাগ কমছে না। প্রতিবাদে তিন জনের প্রাণ গিয়েছে। সেই আগুনেই ঘি পড়ল শুক্রবার যখন ভিন্তো শহরে প্রতিবাদীরা সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। জনতার রোষের মুখে পড়লেন মেয়র আর্সে। প্রতিবাদীরা মেয়রকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় বের করে আনলেন। চুল কেটে মুখে এবং সারা শরীরে লাল রং মাখিয়ে ছাড়লেন প্রতিবাদীরা। কারা এই কাজ করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। কারণ, সরকার পক্ষ যখন বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে, বিরোধীরাও সরকার পক্ষকে ছেড়ে কথা বলছেন না। বিবিসি-র একটি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ভিন্তোর মেয়র আর্সের কাজে সাধারণ মানুষ এতটাই রেগে গিয়েছেন যে, তাঁকে জোর করে ইস্তফাপত্রেও সই করিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ২০ বছরের এক পড়ুয়াকে শনাক্ত করেছে। যুবকের নাম লিমবার্ট। বিশেষজ্ঞদের কথায়, নির্বাচনের পর বলিভিয়ার সাধারণ অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। দুর্নীতি, অপশাসন, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি অনেক কিছুতেই মানুষের ক্ষোভ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত মাসেই সাধারণ নির্বাচন হয় দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে। মসনদে বসেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। তবে নির্বাচনে বিস্তর ছাপ্পা ও হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে মোরালেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট মোরালেসের কাছের লোক বলেই পরিচিত মেয়র আর্সে। ফলে সরকার বিরোধীদের হাতে হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন করা হয় পাকিস্তানের হিন্দু ছাত্রীকে, ময়নাতদন্তে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]