Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ইন্দোনেশিয়ার তিনটি গীর্জায়

এখনও পর্যন্ত মৃত ছয়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে খবর।

Bombings at three churches killed at least six people in Surabaya, Indonesia
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 13, 2018 10:54 am
  • Updated:May 13, 2018 10:54 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ পরপর তিনটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশ। রবিবার সকালে প্রদেশের সুরাবায়া এলাকার তিনটি গীর্জায় প্রার্থনা চলাকালীন হামলা চালানো হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের, গুরুতর জখম ৩৫। মৃতের সংখ্যা ও জখমের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার না করলেও সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

[প্যারিসে ফের জঙ্গিহানায় মৃত এক, হামলার দায় স্বীকার আইএসের]

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ প্রার্থনা চলছিল ইন্দোনেশিয়া পূর্ব জাভার সুরাবায় প্রদেশের সান্টা মারিয়া চার্চ, সুরাবায়া সেন্ট্রাল পেন্টাকোস্টাল চার্চ ও জিকেআই ডিপোনেগোরো চার্চে। হঠাৎই বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারদিক। এরপরেই শুরু হয় প্রাণ বাঁচাতে সকলের ছোটাছুটি। চারপাশে চাপচাপ রক্তের মধ্যে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন সেই সময় গীর্জায় উপস্থিত প্রার্থনাকারীরা। আত্মঘাতী মানব বোমা হামলার আতঙ্কে তখন কাঁপছে গোটা এলাকা।

Advertisement

[মুম্বইকে রক্তাক্ত করেছিল পাক জঙ্গিরাই, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নওয়াজের]

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন গীর্জার এক নিরাপত্তারক্ষী ও বাকিরা হাজির হয়েছিলেন প্রার্থনার জন্য। ঘটনাস্থল থেকেই গুরুতর জখম ৩৫ জনকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুজন পুলিশ কর্মীও। আততায়ীরা সংখ্যায় কতজন ছিল সেই বিষয়ে এখনও সঠিক কোনও তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের অনুমান বাইক ও গাড়িতে করে হামলাকারীরা এলাকায় ঢুকেছিল। আত্মঘাতী হানায় প্রাণ গিয়েছে তিন হামলাকারীর। তিনটি গীর্জায় হামলার পরই এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান চতুর্থ হামলার জন্য ক্যাথিড্রাল চার্চের উদ্দেশে যাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি। যদিও পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

[রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, মায়ানমারের বিরুদ্ধে তোপ নোবেলজয়ী কারমানের]

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকা ঘিরে ফেলে বম্ব স্কোয়াড ও বিশাল পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকায় ঢোকা ও বেরনোর সমস্ত রাস্তা। এলাকাজুড়ে যৌথ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড। আর কোনও বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে কিনা তার খোঁজেই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ