সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিনজিয়াং প্রদেশের ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে ধর্মত্যাগ করানোর পাশাপাশি ১৬ হাজার মসজিদ ভেঙে ফেলছে চিন। উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে শুক্রবার প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (ASPI)-এর রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই জানা গিয়েছে।
উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের ছবি বিশ্লেষণ করে ওই সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, আগে শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে প্রায় ২৪ হাজার মসজিদ ছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকে গত তিন বছরের তার মধ্যে ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করে ফেলেছে চিন। কিছু মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস না করা হলেও নমাজ পড়ার উপযুক্ত নেই।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ভেঙে পড়ল সামরিক বিমান, মৃত কমপক্ষে বায়ুসেনার ২২ জওয়ান ]
এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তুর্কিভাষী ১০ লক্ষ উইঘুর (Uighur) মুসলিমকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার নামে মুসলিমদের অন্য ধর্মের আচার-আচরণ পালন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। সবথেকে মজার কথা হচ্ছে শিনজিয়াং প্রদেশে থাকা উইঘুর মুসলিমদের মসজিদগুলো ধ্বংস করা হলেও গির্জা ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলির কোনও ক্ষতি করা হয়নি। যত অত্যাচার চলেছে উইঘুরদের উপরেই।
যদিও অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার ওই রিপোর্টকে চিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে বেজিং। তাঁদের দাবি, ওই সংস্থার রিপোর্টের কোনও সারবত্তা নেই, চিনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্যই এটা তৈরি করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমেরিকার থেকে ১০ গুণ বেশি মসজিদ রয়েছে শিনজিয়াংয়ে। এমনকী এখানকার মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে যতগুলি মসজিদ রয়েছে ততগুলি অনেক ইসলামিক দেশেও নেই। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থা চিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য এই ধরনের ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।’