সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চর্তুদিকে বন। সবুজের মাঝে একটুকরো বসতি। অসংখ্য গাছ, বন্যজন্তু, পাখির সঙ্গে থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। চিনের লিউঝৌ শহরে কৃত্রিমভাবে এমনই অরণ্যনগরী তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বেলাগাম দূষণ থেকে মানুষকে রক্ষা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এই উদ্যোগ। ২০২০ সালের মধ্যে লিউঝৌ হয়ে উঠবে আক্ষরিক অর্থেই গ্রিন সিটি।
[‘স্বাস্থ্যকর পানীয়’ বিয়ারের আছে ক্যানসার নিরাময়ের ক্ষমতা!]
দূষণে জেরবার এই দেশের দুটি বড় শহর। বেজিং, সাংহাই ধোঁয়ায় মুখ ঢেকেছে। পরিবেশ বাঁচাতে কোন পথে এগোনো যায় তার জন্য চিনে গবেষণার শেষ নেই। চিনাদের পরিকল্পনার ছাপ এবার দেখা যাবে লিউঝৌ শহরে। যেখানে ৩৪২ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে অরণ্যনগরী। বনজঙ্গলের মাঝে থাকবে ৭০টি বহুতল। এই শহরে বাড়ি, হাসপাতাল, হস্টেল, স্কুল এবং অফিস থাকবে। লিউঝৌকে চিরসবুজ রাখতে আবাসনের মধ্যে থাকছে ৪০ হাজার বৃক্ষ। আর গোটা এলাকা জুড়ে ১০ লক্ষ গাছ। দক্ষিণ চিনের লিউঝৌ শহরকে এভাবে সাজাতে ইটালির স্টেফানো বোয়েরি নামে এক সংস্থা কাজ করছে। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুনিয়াতে এটাই প্রথম এধরনের উদ্যোগ। যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করবে।
[২১ জুলাই ফের বড়সড় চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে Jio]
এই প্রজেক্টের পোশাকি নাম গ্রিন সিটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অরণ্যনগরীর সুফল প্রচুর। নয়া পরিকল্পনায় প্রতি বছর এই শহরে ১০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ৫৭ টন দূষণ কম হবে। পাশাপাশি প্রচুর গাছ দেবে ৯০০ টন অক্সিজেন। যার ফলে শহরের তাপমাত্রাও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হবে। বন্যপ্রাণীদের মুক্তাঞ্চল হতে চলেছে এই বননগরী। পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে প্রতিটি বাড়ির ছাদে থাকবে সৌরশক্তির ব্যবস্থা। লিউঝৌ সূর্যরশ্মির শক্তিতে আলোকিত হবে। ইটালির মিলানে দুটি আবাসনে এমন ব্যবস্থা আছে। যেখানে পাঁচ একর এলাকায় গাছগাছালির সঙ্গে সহাবস্থান করছে কয়েকশো নাগরিক। বেজিং, সাহাংইয়ের দূষণ রুখতে দুই শহর থেকে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে প্রত্যন্ত গ্রামে পাঠানো হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এই ভারসাম্য বজায় রাখা চিনের লক্ষ্য।