সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঙ্গপালের হামলায় জেরবার পাকিস্তান। ফসলের চরম ক্ষতির পাশাপাশি বাড়িতে ঢুকে পড়ছে এই রাক্ষুসে পতঙ্গের ঝাঁক। শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছে না সেপাই-সান্ত্রীরা। তাই এবার ভরসা চিনের হংস বাহিনী’।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার গুপ্তধন! তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে]
পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ‘বন্ধু’ চিনের মদত চেয়েছিল পাকিস্তান। যথারীতি সেই ডাকে সাড়া মিলেছে। এবার পঙ্গপাল নিকেশ করতে পাকিস্তানে ১ লক্ষ বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাঁস পাঠাতে চলেছে বেজিং। পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া জিনঝিয়াং প্রদেশে জড়ো করা হয়েছে এই হংস বাহিনীকে। ইতিমধ্যে সিন্ধ, বালোচিস্তানের মতো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন শুরু করেছেন চিনা অধিকারিকরা। উল্লেখ্য, আফ্রিকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসা এই হানাদর পতঙ্গের ফৌজ পাকিস্তানে ফসলের বিপুল ক্ষতি করেছে। এমনকি শহরে বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে রীতিমতো হুলুস্থুল বাধিয়ে দিয়েছে এই পোকাগুলি।
চিনের ‘ঝেজিয়াং অ্যাকাডেমি অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস’-এর গবেষক লু লিঝি জানান, হাঁস দল বেধে থাকে। মুরগির তুলনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। এছাড়া, এদের খবর খোঁজার ক্ষমতা, প্রবল শীতে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতাও অসাধারণ। একটি মুরগি দিনে ৭০টি পঙ্গপাল খেতে পারে, তুলনায় প্রায় ২০০টি পোকা সাবাড় করতে পারে একটি হাঁস।২০০০ সালে এদের এই দক্ষতার পরিচয় পেয়েছিল চিন। সেবার জিনঝিয়াং প্রদেশে পঙ্গপালদের নিকেশ করেছিল হংস বাহিনী। আকাশ পথে এদের পাকিস্তানে নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাবের সিন্ধুপ্রদেশে বিভিন্ন চাষের জমিতে হামলা চালাচ্ছিল পঙ্গপালের দল। বর্তমানে সেখানকার সমস্ত জমির ফসল নষ্ট করে পাঞ্জাবের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে সেখানকার পরিস্থিতিও জটিল হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তাই তড়িঘড়ি চারটি প্রদেশের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের ডেকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপরই দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।