সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মার দিল চিনারা। ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’-এ কর্মরত চিনা কর্মীদের মারে পালাতে বাধ্য হয় পাক পুলিশকর্মীরা। সদ্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
[মুম্বইয়ের ধাঁচে হামলার ছক, করাচি থেকে রওনা ‘জেহাদি জাহাজ’]
পাকিস্তান যেন কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়, চিনের উপনিবেশ মাত্র। আর সেখানে ‘কমিউনিস্ট প্রভু’দের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে ঘটে। পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় চিনা কর্মীরা। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনা কর্মীদের উত্যক্ত করছিল পুলিশ। তাঁদের ক্যাম্প থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না। আর এতেই চটে লাল হয়ে যায় ‘লালচিনের’ নাগরিকরা। শুরু হয় বচসা। তা গড়ায় হাতাহাতির পর্যায়ে। প্রায় একতরফা মার খেয়ে পিঠ বাঁচাতে পালিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। সমস্ত ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় নেট দুনিয়ায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিনা কর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার। ওই অঞ্চলে ‘সিপিইসি’ প্রকল্পের অন্তর্গত ‘এম৪ মোটরওয়ে’ নামের সড়ক নির্মাণ করছে তাঁরা। ঘটনার দিন চিনা ক্যাম্পে হানা দেয় পাক পুলিশ। আটকে রাখা হয় ইঞ্জিনিয়ারদের। তারপরই দু’দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তবে ঠিক কী কারণে তাঁদের আটকানো হয় তা জানা যায়নি। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও। রাতে ফের গন্ডগোল পাকায় চিনারা। পুলিশ ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাঁরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও চিনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
[চিনা হ্যাকারদের কবলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট, আশঙ্কা তথ্য চুরির]
উল্লেখ্য, ‘সিপিইসি‘ প্রকল্পের অন্তর্গত পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য পাকিস্তানে রয়েছে কয়েক হাজার চিনা নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, গবেষক ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরাও। প্রায় রাজার হালে তাঁদের রেখেছে পাক প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানে সরকারি ভাষার তালিকায় স্থান পেয়েছে মান্দারিন। সব মিলিয়ে বেজিংয়ের তোয়াজ করতে খামতি রাখছে না ইসলামাবাদ। ফলে চিনা প্রভুদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে দোনামনা করছে পুলিশবাহিনী।
দেখুন ভিডিও: