সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুমিছিল চলছে। আর ঠিক সেই সুযোগে ভয়াবহ এই মহামারীর জন্মদাতা চিন খেলছে অন্য খেলা! দেশের মাটি থেকে উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে নৃশংস মারণযজ্ঞ শুরু করেছে তারা। এই সম্প্রদায়ের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জোর করে গর্ভপাত করানোর পাশাপাশি সদ্যোজাত শিশুদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে। সবকিছুই খুব ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে বাস্তবায়িত করছে জিনপিংয়ের প্রশাসন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চিনে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের জীবনযাত্রা সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন থেকে উইঘুর মুসিলমদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। এই জন্য চিনের শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে উইঘুর সম্প্রদায়ের মহিলাদের জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এই ঘটনায় মহিলাদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি সদ্যোজাত শিশুদের জন্মের পরে হাসপাতালগুলিতেই মেরে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠলে সরকারের তরফে দেশের পরিবার পরিকল্পনা নীতির বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে। সরকারি নির্ধারিত সংখ্যার বেশি যদি কারও সন্তান থাকে অথবা কোনও মহিলা যদি ৩ বছরের মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন, তাঁর সন্তানকে মারা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মোদিই ভরসা! নির্বাচনে জিততে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার ট্রাম্পের ]
এ প্রসঙ্গে হাসিয়েত আবদুল্লা নামে তুরস্কের চিকিৎসক জানান, তিনি চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের একটি হাসপাতালে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কাজ করেছেন। সেই সময়ই উইঘুর মুসলিম মহিলাদের উপর এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনা নিজের চোখে দেখেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও ৮ থেকে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বারও গর্ভপাত করানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের সন্তান প্রসব করানোর পরেই খুন করা হচ্ছে সদ্যোজাতকে। তারপর সেই দেহ গুম করে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর জন্য হাসপাতালগুলিতে আলাদা বিভাগও রয়েছে।