সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গবেষণা হয়েছে অনেক। আজ থেকে নোভেল করোনা ভাইরাসের ওষুধ ও প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। খবর মার্কিন প্রশাসন সূত্রে। যদিও বিষয়টি গোপন রাখতে এ নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনের এক বিশ্বস্ত সূত্রে মিলেছে খবর। আগামী এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে। সিয়াটেলের হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে আজই প্রথম ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।
পরীক্ষামূলকভাবে COVID-19’এর ওষুধ আবিষ্কারের পদ্ধতি স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ। মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ জন সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের উপরেই প্রয়োগ করা হবে নির্দিষ্ট মাত্রার একাধিক ওষুধ। সূত্রের আরও খবর, এই ৪৫ জনের শরীরে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ নেই। তাই এসব ওষুধ প্রয়োগে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি গবেষকদের। মূল উদ্দেশ্যে, এসব ওষুধ মানবশরীরে কী প্রভাব ফেলে, তা জানা। সেইসঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী হতে পারে, তাও দেখার বিষয়।
[আরও পড়ুন: কাজে যোগ দিতে চাইছেন না জওয়ানরা, করোনার মারে বেকায়দায় পাক সেনা]
বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। চিনের ইউহান থেকে এখন তার মারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপে। রেকর্ড হারে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। COVID-19 সংক্রমণ বাগে আনতে গবেষণায় নেমেছে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা। কে আগে প্রতিষেধক আবিষ্কার করে পথে দেখাবে, রোগ মোকাবিলায় শত চেষ্টার মাঝে তা নিয়েও শুরু হয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা। কেউ কেউ সাধারণ ওষুধ প্রয়োগ করেই সাময়িকভাবে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টার পক্ষে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ল্যাবরেটরিতে একাধিক প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে। তবে তার কোনটা কতটা কার্যকরী, আদৌ কার্যকরী কি না, সেসব বুঝতে প্রয়োগ দরকার। সেই লক্ষ্যে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে মার্কিন গবেষকদল পেয়ে গিয়েছেন ৪৫ জনকে।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝে সুখবর, লন্ডনের করোনা আক্রান্ত সদ্যোজাত সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত]
আমেরিকায় এই মুহূ্র্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ৫০ ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে রোগ প্রতিরোধে মরিয়া চেষ্টা সেদেশের গবেষকদের। সম্ভবত এখানেই প্রথম এভাবে ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। যদিও ফলাফল বুঝতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ততদিনে হয়ত নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপট কমবে। কিন্তু তাঁদের এই পরীক্ষা সফল হলে, আগামীর জন্য মারণ জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধের অস্ত্র আসবে মানুষের হাতে।