Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

দাপট অব্যাহত করোনা ভাইরাসের, বিশ্বের ৫৬ দেশে থাবা বসিয়েছে মারণ জীবাণু

চিনের বাইরে ইরানে করোনার বলি সর্বোচ্চ, মৃত ৯।

Corona Virus spreading: atleast 56 countries are under attack of this virus
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 29, 2020 7:46 pm
  • Updated:February 29, 2020 7:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই কমছে না করোনা ভাইরাসের দাপট। তা আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। রোগের আঁতুরঘর চিনে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ৫৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস বা COVID-19 ভাইরাস।চিনে মৃত বেড়ে ৩০০০ ছুঁইছুঁই। এবার তা হানা দিল কাতার, নাইজেরিয়া, নিউজিল্যান্ডেও। দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা বেশ ভয়াবহ। সেখানে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। উদ্বেগ বাড়িয়েছেন আমেরিকার ওয়াশিংটনের কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁর শরীরে মারণ জীবাণুর হদিশ মিললেও, তার উৎস সম্পর্কে আতান্তরে চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, সংক্রমিত ব্যক্তির ছোঁয়া সম্পূর্ণভাবে বাঁচিয়ে চলুন।

করোনার ভয়ে কাঁপছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া, সিয়াটেলে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিবৃতি জারি করে মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, কয়েকজনের শরীরের অতি সম্প্রতিই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এর মধ্যে তাঁরা করোনা কবলিত দেশগুলিতে বেড়াতে যাননি, স্বদেশেই ছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে সংক্রমণ ছড়াল তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঘুরে আসা এক মহিলাও করোনা আক্রান্ত। এঁরা সকলেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। করোনা বিধ্বস্ত শহরগুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম, নাগরিকদের বিনামূল্যে সরকারি পরিবহণের সুবিধা দিচ্ছে এই দেশ]

দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে ৬০০ জনের শরীরে মিলেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এটাই রেকর্ড সংখ্যা বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। চিনের বাইরে শুধু ইরানে করোনার বলি সর্বোচ্চ – সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৯। আর কোথাও এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়নি বলে পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে। কাতারেও একজনের শরীরে মিলেছে মারণ জীবাণু। যার জেরে সতর্ক হয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ইরাক সরকারও সংক্রমণ এড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে। বহু মানুষের সমাগম রুখতে এক সপ্তাহের জন্য কাফেটেরিয়া, সিনেমা হলের মতো জায়গাগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

ইউরোপের অবস্থাও এক। ফ্রান্সে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, এই জীবাণু মোকাবিলায় তাঁদের বেশ বেগ পতে হচ্ছে। দেশের অন্তত তিনটি হাসপাতালকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে শুধু করোনার চিকিৎসার জন্য।

[আরও পড়ুন: পাক সেনা সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মেলনের মাঝেই ব্যানার জেনেভায়]

এত দুঃসংবাদের মধ্যেও চিন আশাবাদী। ফেব্রুয়ারি মাসে সেদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তেমনভাবে বাড়েনি বলে দাবি জিনপিং প্রশাসনের। তবে করোনার জেরে চিনের অর্থনীতির অগ্রগতি একেবারেই থমকে গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে যেভাবে ত্রাস ছড়িয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস। তাঁর কথায়, শতকের অন্যতম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। তা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকেও। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ