প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন তৈরির লড়াইয়ে বড় ধাক্কা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার পর এবার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকার ট্রায়ালও। টিকা নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবক অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রায়াল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হল বিশ্বখ্যাত এই সংস্থাটিকে।
অন্যান্য বহু সংস্থার মতো জনসন অ্যান্ড জনসনও (Johnson & Johnson ) করোনার টিকা তৈরির লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের ‘লার্জ স্কেল’ ট্রায়ালের পথে পা বাড়িয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তাদের ধাক্কা খেতে হল। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,”এক স্বেচ্ছাসেবক অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা আমাদের COVID-19 ভ্যাকসিনের সমস্তরকম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নতুন করে ডোজ দেওয়া বন্ধ করেছি। তৃতীয় পর্যায়ের ENSEMBLE ট্রায়ালও বন্ধ করা হয়েছে।” জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, বড় মাপের ট্রায়ালে এই ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। এবার সংস্থা পরীক্ষা করে দেখবে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণ এই টিকা নাকি অন্য কিছু। তারপরই ফের ট্রায়াল শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রথা মেনে প্রথমে বাঁদরদের শরীরে তা প্রয়োগ করা হয়। সেই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল মিলতে আমেরিকার বহু তরুণ-তরুণীর উপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। তাতেও ভালই ফল মিলেছে বলে দাবি সংস্থার। জনসন অ্যান্ড জনসন সূত্রে খবর, ৯৮ শতাংশ ভলান্টিয়ারের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হয়েছে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৯ দিন পরে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সেই ফলের উপর নির্ভর করে তৃতীয় পর্যায়ের ‘লার্জ স্কেল’ ট্রায়ালের প্রস্তুতি শুরু করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এই পর্যায়ে ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার কথা ছিল। অনলাইনে স্বেচ্ছাসেবীদের নাম নথিভুক্তকরণও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে একজন স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ফলে আপাতত স্থগিত করে দিতে হল স্বেচ্ছাসেবীদের নাম নথিভুক্তকরণও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.