Advertisement
Advertisement

Breaking News

পার্ল হারবার

পার্ল হারবার, ৯/১১ হামলার চাইতেও ভয়াবহ আক্রমণ করোনার, মানলেন ট্রাম্প      

আমেরিকায় ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত।

Donald Trump says coronavirus crisis ‘worse than Pearl Harbor or 9/11
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 7, 2020 10:21 am
  • Updated:May 7, 2020 10:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের হামলার ভয়াবহতা বোঝাতে গিয়ে মার্কিন ইতিহাসের রক্তাক্ত দু’টি অধ্যায় তুলে ধরলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবার বা ৯/১১-এর থেকেও ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করেছে কোভিড-১৯।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধজয়ের ইঙ্গিত? করোনার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করল ইটালি]

বুধবার করোনা সংকট নিয়ে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।খেদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা পার্ল হারবারের চেয়ে খারাপ। এটা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেয়েও খারাপ। এমন আগে কখনও ঘটেনি।” উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর ভোরে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পার্ল হারবারে মার্কিন নৌসেনার ঘাঁটিতে অতর্কিতে আক্রমণ করেছিল জাপানের নৌবাহিনী। হাওয়াই দ্বীপে ওই দিনটি ছিল ছুটির দিন। ৬টি বিমানবাহী জাহাজ থেকে ৩৫৩টি জাপানি যুদ্ধবিমান এবং টর্পেডো বিমান মার্কিন নৌঘাঁটিতে একযোগে আক্রমণ করে। চারটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাৎক্ষণাত্‍‌ ডুবে যায়। অন্য চারটি যুদ্ধজাহাজ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পার্ল হারবারের ওই হামলায় ১৮৮টি মার্কিন বিমান ধ্বংস হয়। নিহত হয় ২ হাজার ৪০২ মার্কিনসেনা। আহত হয় আরও ১ হাজার ২৮২ জন। পার্ল হারবার এই আক্রমণ ছিল ইতিহাসের একটি অপ্রত্যাশিত সামরিক অভিযান। অন্য দিকে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে হামলায় ৩ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়। যার জেরে দীর্ঘ দু-দশকের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমেরিকায় ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত।এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজার ৮০৭ জন আক্রান্তের। মারণ রোগটিকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার জন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের সংক্রমণে অন্তত এক লক্ষ আমেরিকাবাসী প্রাণ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত ২০ এপ্রিল,  ট্রাম্পই মন্তব্য করেছিলেন যে, আমেরিকায় করোনার জেরে মৃত্যু সংখ্যা ৬০ হাজারের মধ্যে থাকবে। অথচ এই ঘোষণার দিনই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের তরফে এক লক্ষ ‘বডি ব্যাগ’ অর্ডার করা হয়েছিল। আমেরিকার একাধিক স্বাস্থ্য বিশারদদের দাবি, করোনার প্রতিষেধক তৈরি হতে এক বছর থেকে শুরু করে ১৮ মাস র্পযন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুসংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে আমেরিকাই শীর্ষে।      

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩২ হাজার, ইটালিকেও ছাপিয়ে গেল ব্রিটেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ