সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) হত্যার ছক? নাকি টার্গেট ছিলেন কোনও শীর্ষ আধিকারিক? শনিবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে এসে পৌঁছানো একটি চিঠি নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন মুলুকে। এমনিতে প্রতিদিন হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় হাজার হাজার চিঠি গিয়ে পৌঁছায়, কিন্তু এই চিঠিটা অন্য। এর মধ্যে কোনও বার্তা ছিল না। ছিল সাক্ষাৎ মৃত্যু। হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় পাঠানো ওই চিঠিটি ছিল বিষে ভরতি। এমন এক বিষ যার সংস্পর্শে এলেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
আমেরিকার একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে একটি বিষ ভরতি চিঠি এসে পৌঁছেছে। যদিও হোয়াইট হাউসের কোনও আধিকারিকের কাছে পৌঁছানোর আগেই তা বাজেয়াপ্ত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জানা গিয়েছে, ওই চিঠিটি রাইসিন (Ricin) নামের বিষে ভরতি ছিল। এর সামান্যতম অংশের সংস্পর্শে এলেও মৃত্যু অবধারিত। তাও আবার ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। এখনও গোটা বিশ্বে এর কোনও প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঠিকানায় পাঠানো এহেন মারাত্মক বিষ, ভাবাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই চিঠিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তদন্তে সাহায্য নেওয়া হবে ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ও ইউএস পোস্টাল ইন্সপেকশন সার্ভিসেরও। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে ওই চিঠিটি এসেছিল কানাডা থেকে।
[আরও পড়ুন: ‘ওরা ঠগ, মহাত্মা গান্ধীকেও ছাড়েনি’, ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদীদের তোপ ট্রাম্পের]
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঠিকানায় বিষ ভরতি চিঠি পাঠানোর ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৮ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এফবিআই ডিরেক্টর-সহ আরও কয়েকজনকে রাইসিন ভরতি চিঠি পাঠানো হয়। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন এক ব্যক্তি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার ট্রাম্পের উপরে হামলার ছক কেন? ঠিক মাসখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাংবাদিক বৈঠকের সময় হোয়াইট হাউসের (White House ) বাইরে সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর আনাগোনা নজরে এসেছিল। সন্দেহের বশে এক ‘সশস্ত্র’ দুষ্কৃতীকে গুলিও করেন ট্রাম্পের নিরাপত্তারক্ষীরা। আসলে আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। তবে, এবারের রাইসিন ভরতি চিঠি ট্রাম্পকেই টার্গেট করে পাঠানো হয়েছিল কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়।