Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইউরোপে করোনা

ইউরোপই এখন করোনা ‘সংক্রমণের উপকেন্দ্র’, ইটালিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত আড়াইশো

সীমান্ত বন্ধ করল পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ডেনমার্ক।

Europe is now the epicenter of Corona Virus infection, says WHO
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 14, 2020 12:47 pm
  • Updated:March 14, 2020 5:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইটালিতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের। যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬৬ জন। চিনের পর করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে ইটালিতেই। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও কয়েক হাজার মানুষ। চিনের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইটালি। সে দেশের বাসিন্দাদের কার্যত কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চিন থেকে ইতালিতে চিকিৎসার সরঞ্জাম ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলিতেও পরিস্থিতি সঙ্গীন। আর তাই ইউরোপকে নোভেল করনা ভাইরাসের এপিসেন্টার বলে উল্লেখ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)

এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৩২ টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার জনেরও বেশি। চিনের ইউহান শহরের পর করোনা ভাইরাসেক করাল গ্রাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ইতালি-ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও মৃত্যুর খবর আসছে। ইতালির পর স্পেনেও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে COVID-19 জীবাণু। গত ২৪ ঘণ্টা সে দেশে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ফলে সংক্রমণ রুখতে তড়িঘড়ি নামানো হয়েছে সেনা। জারি করা হয়েছে জরুরী অবস্থাও। এদিকে শনিবারই ইউরোপের পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ডেনমার্কের সীমান্ত সিল করা হয়েছে। জার্মানির নাগরিকদরেও প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছে না সরকার। রোম ও গ্রিসে বন্ধ পর্যটনস্থল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রার্থনাস্থলও। কার্যত শুনসান রাস্তাঘাট।

Advertisement

Advertisement

[আরও পড়ুন : ৪৫ বছরের সম্পর্কে ইতি, মাইক্রোসফটকে বিদায় জানালেন বিল গেটস]

এদিকে চিনের বদলে বর্তমানে ইউরোপই করোনা সংক্রমণের উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁরা আগেই এই রোগকে বিশ্বব্যাপী মহামারি বলে উল্লেখ করেছিল। বর্তমানে WHO-এর প্রধান টেডরোস জানিয়েছেন, বর্তমানে এই মহামারি এপিসেন্টার বা উৎসস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপ। টেডরোসের কথায়, চিনের পর ইউরোপেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায়, এমনকি চিনের থেকেও বেশি হারে এখন ইউরোপে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিশ মিলছে প্রতিদিন।

[আরও পড়ুন : ‘ভুয়ো খবর’, করোনা পরীক্ষায় পাশের পর বললেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট]

চিনের যে ইউহান থেকে যে ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল তা আজ গোটা বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লড়াই করেছে চিন প্রশাসন। যার ফলে ইউহানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমছে। তবে ইটালি ও ইরানে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ