Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্যা

দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যায় মৃত ৬০০, ঘরছাড়া আড়াই কোটি মানুষ

প্লাবিত জাতীয় উদ্যান, বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণও৷

Flood ravaeges South Asian countries, over 600 dead
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 28, 2019 9:43 am
  • Updated:July 28, 2019 9:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির চোখরাঙানির রোষে একদিকে বন্যা। অন্যদিকে খরা। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, এবছর বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০ মানুষ। এবং প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ঘরছাড়া। চলতি বর্ষায় বন্যায় জেলার পর জেলা ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার এবং ভারতের কিছু কিছু অংশে। রাষ্ট্রসংঘের এক আধিকারিক ফারহান হক এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।

[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই, ঢাকায় ধৃত ৩]

Advertisement

ভারতে অসম, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফের মতো সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। এই সমস্ত রাজ্যে যেমন মানুষ মরেছে, তেমনই বন্যার গ্রাসে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের অবস্থাও ভয়াবহ। রিপোর্ট বলছে, শুধুমাত্র অসম ও বিহারে এক কোটির উপর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে জলের তলায় অর্ধেক অসম। ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বিপদসীমা উপর দিয়ে বইছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। জলের নিচে চলে গিয়েছে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৯২ একর চাষযোগ্য জমি। জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শোণিতপুর, গোলাঘাট, জোরহাট, বাকসা, ডিব্রুগড়, নলবাড়ি, হোজাই, মরিগাঁও, লখিমপুর, দরং, নগাঁও, কামরূপ, বরপেটা, ধুবরি, মাজুলি, করিমগঞ্জ, শিবসাগর, হাইলাকান্দি এবং দক্ষিণ সালমারা জেলার একাধিক বাঁধ, সড়ক, সেতু এবং সাঁকো। ধস নেমেছে বরপেটা, শোণিতপুর জেলার একাধিক জায়গায়।

Advertisement

বর্ষার সময় প্রতিবছরই জল ঢুকে পড়ে কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। বন্যার জলে চাপা পড়েছে অভয়ারণ্যের ৪৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার নব্বই শতাংশই। প্রাণে বাঁচতে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকার দিকে আশ্রয় নিয়েছিল ঝাঁকে ঝাঁকে পশু। কিন্তু অভয়ারণ্য লাগোয়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরোতে গিয়ে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই ওই রাস্তায় মোটর যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। নগাঁওয়ের জাখালাবান্ধা এবং গোলাঘাটের বোকাখাট থেকে সমস্ত গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পশুরা যাতে নিরাপদে রাস্তা পারাপার করে এবং চোরাশিকারিদের নজর থেকে তাদের বাঁচানো যায়, তার জন্য ওই এলাকায় ১০০ বনদপ্তরের কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এত সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও শনিবার থেকে কাজিরাঙায় ২৩টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। নেপালের অবস্থাটাও অনেকটা একই রকম। বিস্তীর্ণ এলাকা জলের নিচে। এই পরিস্থিতিতে জলবাহিত সংক্রমণ যাতে না-ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সহায়তার আরজি জানিয়েছে নেপাল। প্রায় সত্তর হাজার মানুষ অসহায় জলের কাছে। একই পরিস্থিতি বাংলাদেশে। তবে এবছর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি বেশ খারাপ।

[আরও পড়ুন: ঢাকায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত এক সিভিল সার্জেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ