সুকুমার সরকার, ঢাকা: নাশকতার দু’টি পৃথক মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে বিএনপি নেত্রীকে ছয় মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ এই রায় দেয়। তবে দু’টি মামলায় জামিন পেলেও অন্য একটি মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে বেগম জিয়াকে।
[একই অঙ্গে যোনি ও পুরুষাঙ্গ, শহরে জন্ম বিরল শিশুর]
নাশকতা, মানহানি-সহ একাধিক মামলা চলছে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। জেলে মেয়াদ খাটছেন খালেদা। নেত্রীর এহেন বিপাকে কার্যত দিশেহারা বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে টক্কর দিতে কোনও পরিকল্পনাও নেই বিএনপির। এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চলতি বছরের শেষের দিকেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলনেত্রীর মুক্তি চাইছে বিএনপি। তবে নাশকতা ও দুর্নীতির একাধিক মামলার জেরে আপাতত জেলের বাইরে খালেদার আসা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কয়েকদিন আগেই দু’টি মানহানি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পাশাপাশি ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৫ জুলাই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জিয়ার আইনজীবীর অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন খালেদা। দু’টি মামলাই পুরোনো। এতদিন তা ফেলে রাখা হয়েছিল। দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পরই ফের মামলা দু’টি তুলে আনা হয়। তাঁকে জেল থেকে বেরতে না দেওয়ার জন্যই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরই ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর জেলের সাজা হয়। অনাথ শিশুদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন খালেদা।
[ওষুধ তৈরির জন্যই পাচার হচ্ছে কচ্ছপ, প্রকাশ্যে বাংলাদেশ-চিন যোগ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.