Advertisement
Advertisement
রাফালে

রাফালে চুক্তির পরই আম্বানির ১১০০ কোটির কর মকুব! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক রিপোর্ট

মোদি কি আম্বানির দালাল হিসেবে কাজ করছেন? প্রশ্ন কংগ্রেসের।

French authorities cleared Anil Ambani's millions of debt after Rafale deal
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 13, 2019 7:22 pm
  • Updated:April 17, 2019 1:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাফালে চুক্তি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নয়া রিপোর্টে নতুন করে অস্বস্তি বিজেপির। ফ্রান্সের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘লা মদেঁ’ এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যাতে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাফালে চুক্তি ঘোষণা করার মাস ছয়েকের মধ্যে ফ্রান্স সরকার অনিল আম্বানির সংস্থার কোটি কোটি টাকা কর মকুব করে দিয়েছে।

[আরও পড়ুন:  উপবাসেও ক্লান্তি নেই, নবরাত্রির মধ্যে তেরো রাজ্যে ২৩টি সভা মোদির]

ওই সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী, রাফালে চুক্তি যখন মোদি ঘোষণা করেন, তখন ফ্রান্স সরকার কর বাবদ প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ ডলার পেত অনিল আম্বানির সংস্থার কাছে। ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর মূল্য প্রায় ১১৮০ কোটির আশেপাশে। কিন্তু, মোদির চুক্তি ঘোষণার কিছুদিন পরে দেখা যায় ফ্রান্স সরকার কর বাবদ প্রাপ্য টাকার প্রায় পুরোটাই মকুব করে দিয়েছে। ফ্রান্সেও অনিল আম্বানির একটি টেলিকম সংস্থা রয়েছে। সংস্থাটির নাম রিলায়েন্স আটলান্টিক ফ্ল্যাগ ফ্রান্স। এই সংস্থাটির কাছেই ওই ১১৮০ কোটি টাকা কর পেত ফ্রান্স সরকার। লা মঁদে’র দাবি, চুক্তির কয়েকদিনের মধ্যে এই করের প্রায় ১১২৫ কোটি টাকা মকুব করে দেয় সরকার। অনিল আম্বানির সংস্থা এবং ফরাসি সরকারের মধ্যে এই কর মকুবের বোঝাপড়া হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবরে। এই ঘটনার কিছুদিন আগেই ফ্রান্সের সংস্থা দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে রাফালে চুক্তি চূড়ান্ত হয় ভারতের। ২০১৫ সালে এপ্রিল মাসে মোদি নিজে চুক্তির কথা ঘোষণা করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জালিয়ানওয়ালাবাগ কাণ্ডের শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানিয়েও ক্ষমা চাইল না ব্রিটেন]

ফ্রান্সের সংবাদপত্রটি আম্বানির কর মকুব করার এই সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুলেছে। যদিও, আম্বানির সংস্থার দাবি, ফ্রান্সের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তাদের কর মকুব করা হয়েছে। কোনও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসও এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী আম্বানির দালাল হিসেবে কাজ করছেন। মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। বিদেশে অনিল আম্বানির আরও সংস্থা আছে, সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করছে বিজেপি।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ